লাইসেন্স ছাড়া এমএলএম ব্যবসায় ১০ বছরের সাজা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করলে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডের বিধান রেখে মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কার্যক্রম (নিয়ন্ত্রণ) আইন- ২০১৩ চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনটি জনগুরুত্ব সম্পন্ন ও জরুরি বিধায় এটি অধ্যাদেশ আকারে জারিরও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের জানান, দেশে বিদ্যমান এমএলএম কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং এদের প্রতারণার হাত থেকে জনগণকে রা করার জন্য এ আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনে বিদ্যমান এমএলএম কোম্পানিগুলোকে বন্ধ করা হবে না। তবে তাদেরকে অধ্যাদেশ জারির ৯০ দিনের মধ্যে লাইসেন্স নিতে হবে। লাইসেন্স ছাড়া কেউ এ ব্যবসা করতে পারবে না এবং অনুমতি ছাড়া লাইসেন্স হস্তান্তর করা যাবে না। লাইসেন্সের মেয়াদ হবে এক বছর। এছাড়া কোম্পানি আইনে কোম্পানি গঠন করতে হবে এমএলএম কোম্পানিগুলোকে।’

এমএলএম কোম্পানি যেসব পণ্য কেনা-বেচা করতে পারবে সেগুলো হচ্ছে- গৃহস্থলি, ইলেকট্রনিক, প্রসাধনী, হারবাল, টেলিযোগাযোগ, ট্রয়লেট্রিজ, সেবা, প্রশিণ ও কৃষিজাত পণ্য ইত্যাদি।

প্রস্তাবিত আইনে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সাজার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে সচিব বলেন, ‘লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করলে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড, অনুমতি ছাড়া লাইসেন্স হস্তান্তর করলে ১-২ বছর কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ টাকা জরিমানা, বিদ্যমান এমএলএম কোম্পানিগুলো লাইসেন্স না নিলে ৬-১০ বছরের জেল এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানা, প্যাকেজিংয়ের বিধান লঙ্ঘন করলে ১-২ বছরের জেল এবং ২ লাখ টাকা জরিমানা। এছাড়া মোড়কে লিখিত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করলে ১-৩ বছরের জেল এবং ৫ লাখ টাকা জরিমানা, অযৌক্তিক মূল্য আদায় করলে ১-৩ বছরের জেল এবং  ৩ লাখ টাকা জরিমানা, নিম্নমানের পণ্যের জন্য ২-৫ বছরের জেল এবং ৫ লাখ টাকা জরিমানা, ক্রেতার অনুমতি না নিয়ে তার বাড়িতে যাওয়া কিংবা জোর পূর্বক পণ্য বিক্রি করলে ৬ মাস থেকে ১ বছরের জেল এবং ১ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।’

সচিব জানান, আইন অমান্যকারীদের বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করা যাবে এবং দ্বিতীয়বার আইন অমান্য করলে দ্বিগুন শাস্তি হবে।

প্রশাসক নিয়োগের চারটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার যদি মনে করে প্রতারণার উদ্দেশ্যে কোনো কোম্পানি পরিচালিত হচ্ছে, কোম্পানির ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা প্রতারণা করলে, শেয়ার হোল্ডারদের স্বার্থ সংরণ এবং জনস্বার্থে কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন মনে করলে।’

সরকার লিখিতভাবে কারণ দেখিয়ে গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সংশ্লিষ্ট এমএলএম কোম্পানির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব তথা এক বা একাধিক প্রশাসক নিয়োগ এবং পরিচালনা পর্ষদ গঠন করতে পারবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সচিব জানান, এছাড়া মন্ত্রিসভায় ‘ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন ২০১৩’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০১৩’ -এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন এবং ‘সার্ক এগ্রিমেন্ট অন ট্রেড ইন সার্ভিসেস’-এর আওতায় বাংলাদেশের ‘শিডিউল অব স্পেসিফিক কমিটমেন্টস’ অনুমোদন  দেয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫