বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ সৌরজগতের সীমানা ছাড়িয়ে নাসার পাঠানো মহাকাশযান ভয়েজার এখন অসীমের পথে ছুটে চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানী মার্ক সুইসডাক এক সাক্ষাত্কারে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, ২০১২ সালেই সৌরজগত্ ছেড়ে গেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পাঠানো এই নভোযান। এই প্রথম মানুষের তৈরি কোনো নভোযানের সৌরজগত্ ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রমাণ পেয়েছেন তারা।
এর আগে এ বছরের জুনে নাসার গবেষকরা জানিয়েছিলেন, সৌরজগত্ ছাড়িয়ে যেতে আরও কয়েক বছর লাগতে পারে ভয়েজারের। এ গবেষণা সঠিক নয় বলে দাবি করে মার্ক সুইসডাক বলেন, গত বছরেই সৌরজগতের প্রান্তসীমা অতিক্রম করে গেছে ভয়েজার। তিনি বলেন, ভয়েজারে যখন চৌম্বক ক্ষেত্রের বিশাল তারতম্য ধরা পড়ে তখনই সৌরজগত্ ছাড়িয়ে যায় এটি।
সুইসডাকের নতুন এ গবেষণা সম্পর্কে নাসার গবেষক এজ স্টোন বলেন, কম্পিউটার মডেলের ওপর ভিত্তি করে যে ফল পাওয়া গেছে, তাতে একেক সময় একেক ফল দেখা গেছে।
অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্সে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দাবি করেছেন, কম্পিউটার মডেলের ওপর ভিত্তি করে তারা ভয়েজারের সৌরজগত্ পার হওয়ার এ প্রমাণ পেয়েছেন। এ মহাকাশযান নিয়ে আরও দু’বছর গবেষণা করবেন তারা।
‘সায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, বর্তমানে পৃথিবী থেকে সাড়ে ১৮ বিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে এ নভোযানটি।
১৯৭৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ভয়েজার পৃথিবী থেকে উেক্ষপণ করা হয়। ৩৫ বছর ধরে সৌরজগতের অজানা রহস্যের সন্ধান দিয়ে যাচ্ছে ভয়েজার। গবেষকরা বলছেন, বর্তমানে ভয়েজার মহাশূন্যের এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে, যেখান থেকে পাঠানো তথ্য পৃথিবীতে আসতে সময় লাগছে ১৭ ঘণ্টা।
গবেষকরা ধারণা করছেন, এ নভোযানটি ২০২০ সাল পর্যন্ত সঙ্কেত পাঠাতে সক্ষম হবে। ৪০ হাজার বছরের পথ পাড়ি দিয়ে দুই আলোকবর্ষ দূরের এ নক্ষত্রটির দিকে ছুটে যাবে এই নভোযান।