বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ গত কয়েক দিন ধরে আমরা যে অপ্রিয় বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা করছি এবং বিব্রত হচ্ছি তা হচ্ছে, মেয়ে ঐশির পরিকল্পনায় বাবা মা হত্যাকাণ্ড ষদুঃখজনক এই ঘটনা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে ষআমরা যেখানে স্বপ্ন দেখছি প্রযুক্তি বান্ধব নতুন প্রজন্ম শিক্ষা, সংস্কৃতি আর তাদের মেধা দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বে সন্মানের সঙ্গে তুলে ধরবে ষসেখানে এধরনের ঘটনা কারও কাম্য নয় ষ
প্রতিটি সন্তান বাবা মায়ের কাছেই অনেক প্রিয় ষসন্তানের মঙ্গল চেয়ে, তাদের ভবিষ্যৎ আরও সুন্দর করতেই সব চেষ্টা করেন বাবা মা ষসন্তানের বেড়ে ওঠার সময়ে ১৩ থেকে ১৯ বছর এই বয়ঃসন্ধি সময়টি তাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ষএই সময়ে তাদের মানসিক এবং শারীরিক বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে ষচারপাশের পরিবেশ, বন্ধু এবং সমাজের অনেক কিছু নিয়ে সে ভাবতে থাকে ষঅনেক সময় সে নিজের মতো করে সবকিছু পেতে চায় ষযা হয়তো সব সময় তাকে দেওয়া সম্ভব হয় না ষআর এই না পাওয়া অথবা কোনো বাধা থেকে তার মধ্যে তৈরি হয় হতাশা, কখনো বা শখের বশেই সে জড়িয়ে পড়ে অসামাজিক কোনো কাজে বা মরণঘাতী নেশায় ষতাই এই স্পর্শকাতর সময়টিতে সন্তানের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের বিশেষ করে বাবা মায়ের তৈরি করতে হবে ভালো বন্ধুত্ব ষতাদেরকে সঠিক পথে সুরক্ষিত ও নিরাপদ রাখতে বাবা মাকে যা করতে হবে:
খাবার টেবিলে একসাথে: পরিবারের সবাই এখন ব্যস্ত ষঠিক ঘড়ির সময় ধরে খাবার টেবিলে তিন বেলা হাজির হওয়া সত্যি সম্ভব নয় ষতবে ইচ্ছা থাকলে এক বেলা তো অবশ্যই সম্ভব ষপরিবারের সবাই মিলে রাতের খাবার একসঙ্গে খাওয়া বাধ্যতামূলক করে দিন ষখাওয়ার সময় টিভি না দেখে বা গম্ভীর মুখে তাড়াহুড়ো করে খাওয়া শেষ না করে, সারাদিন কে কী করেছে গল্পে গল্পে জেনে নিন ষ
তার কথার গুরুত্ব দিন: অনেক সময় টিনএজাররা এমন সব বলতে থাকে যার হয়তো তেমন অর্থ থাকে না বা কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও বড়রা গুরুত্বের সঙ্গে নেন না ষআপনার সন্তানকে নিরাপদ রাখতে ছোট ছোট এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে ষঅন্যথায় সে বড় কোনো সমস্যায় পড়লেও আপনার সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবে না ষ
টিনএজারদের ছোটমানুষ ভাবার কোনো কারণ নেই ষতারা প্রতিদিন নতুন নতুন বিষয় শিখছে এবং সে বিষয়গুলোর সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিচ্ছে ষসন্তানের চিন্তার গুরুত্ব দিলেই সে আপনাকে আরও শ্রদ্ধা করবে এবং আপনাদের মধ্যে সম্পর্ক হবে আরও মধুর ষ
মাসে অন্তত একদিন: সারা মাসের একটি দিন ফ্রি রাখুন ষএই দিনে কি করা যায় তা নিয়ে সবাই মিলে পরিকল্পনা করুন ষ সন্তানকে নিয়ে বাইরে কোথাও ঘুরতে যান ষতার পছন্দের কোনো খাবার খান একসঙ্গে কেনাকাটা করুন ষনিয়মিত এটা করতে থাকলে ফ্যামিলি বন্ডিং আরও দৃঢ় হবে ষকিছুদিন পরে দেখবেন সে এই বিশেষ দিনটির জন্য অপেক্ষা করছে ষ
কী করছে তারা: সারাদিন বাবা মা দুজনকেই বাইরে থাকতে হয় ষসন্তান যখন বাড়িতে একা থাকছে তারা কী করছে, বন্ধুদের সঙ্গে কী ধরনের কথা হচ্ছে, অথবা ইন্টারনেটে কোন সাইটগুলোতে সে বেশি সময় ব্যয় করছে তার খোঁজ রাখুন ষমাঝে মাঝে সন্তানের বন্ধুদের পরিবারসহ বাড়িতে ডাকুন ষসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন ষতাতে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে আপনার সন্তানটি কাদের সঙ্গে মিশছে ষ
নিজের কাজ: নিজের পড়ার টেবিল, বিছানা বা কাপড়গুলো পরিস্কারের দায়িত্ব সন্তানকেই দিন ষঅতিথি এলে চা নাস্তা তৈরিতেও তার সাহায্য চান ষবাড়িতে ছোট ভাইবোন বা বয়স্ক কেউ থাকলে তাদের দেখাশোনার কিছু দায়িত্ব তাকে পালন করতে বলুন ষ
সবকিছুতেই হ্যাঁ নয়: সন্তানের সঙ্গে খুব ভালো বন্ধুত্ব নিশ্চয় তৈরি করতে হবে ষতার সব প্রয়োজন সময়মতো পূরণ করতে হবে ষতবে তার কোনো অযোক্তিক চাহিদা থাকলে কষ্ট করে তা পূরণ করা ঠিক নয় ষনিজের পরিবারের আথির্ক অবস্থা সবার জানা থাকা প্রয়োজন ষ
সবার ভালোবাসায় গড়ে উঠবে আমাদের টিনএজার ষ