স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার সময় দুই ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে আড়াই ঘণ্টা করা হয়েছে। ফলে সকাল ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সন্তোষ কুমার অধিকারী জানান, শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশিষ্টদের আদেশের কপি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। অপর একটি সূত্র জানায়, এ বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর সবগুলো বিষয়ে ২৫ শতাংশ করে যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন থাকবে। শিক্ষার্থীরা যাতে ভালোমত সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে সেজন্য এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নে চিন্তা করে শিক্ষার্থীদের উত্তর লিখতে হয়। ২৫ শতাংশ যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন রেখে নমুনা প্রশ্নে পরীক্ষা নিয়ে দেখা যায় ২ ঘণ্টায় শিক্ষার্থীরা ঠিকমত উত্তর শেষ করতে পারছে না। নতুন পদ্ধতির প্রশ্নপত্রে শিক্ষার্থীরা যাতে যথাযথভাবে পরীক্ষা শেষ করতে পারে এজন্য সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। গত বছর প্রাথমিক সমাপনীতে ১০ শতাংশ যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন ছিল। ২০১৪ সালে তা ৫০ শতাংশ করে পরবর্তীতে সব প্রশ্নই যোগ্যতাভিত্তিক করার চিন্তাভাবনা রয়েছে।
এদিকে, মন্ত্রণালয় জানায়, আগামী ২০ নভেম্বর থেকে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত। সূচি অনুযায়ী ২০ নভেম্বর গণিত, ২১ নভেম্বর বাংলা, ২৪ নভেম্বর ইংরেজি, ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক বিজ্ঞান এবং ২৮ নভেম্বর ধর্ম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আর ইবতেদায়ী শিক্ষায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২০ নভেম্বর গণিত, ২১ নভেম্বর বাংলা, ২৪ নভেম্বর ইংরেজি, ২৫ নভেম্বর পরিবেশ পরিচিতি সমাজ/বিজ্ঞান, ২৭ নভেম্বর আরবি এবং ২৮ নভেম্বর কোরান ও তাজবীদ এবং আকাঈদ ও ফিকহ্ । গত ৫ জুন প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা-২০১৩ এর জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এবার প্রাথমিক সমাপনীতে সম্ভাব্য পরীক্ষার্থী ২৬ লাখ ৪৯ হাজার ২৬৫ জন এবং ইবতেদায়ীতে ৩ লাখ ২০ হাজার ৪৫৫ জন। আগামি ২৬ ডিসেম্বর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী আফসারুল আমিন। ৩১ ডিসেম্বর শিক্ষার্থীরা নম্বরপত্র পাবে এবং উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি সনদ দেওয়া হবে। এবার এক উপজেলার উত্তরপত্র অন্য উপজেলায় পাঠিয়ে মূল্যায়ন করা হবে।
পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য ২০০৯ সাল থেকে এ পরীক্ষা শুরু হয়। আর ইবতেদায়ীতে এ পরীক্ষা শুরু হয় ২০১০ সালে। প্রথম দুই বছর বিভাগভিত্তিক ফল প্রকাশিত হলেও ২০১১ সাল থেকে গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ করা হচ্ছে।