দক্ষিণ কোরিয়ায় বিয়ের জন্য ডেটিং পার্টি

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ দক্ষিণ কোরিয়ার জন্মহার বাড়াতে বেশ কয়েক বছর ধরেই অভিনব উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। জন্মহার বৃদ্ধি সরকারের অগ্রাধিকারের অংশ হিসেবেই সরকারের উদ্যোগে সারাদেশে বেশ কয়েকটি ডেটিং পার্টির আয়োজন করা হয়ে থাকে। দক্ষিণ কোরিয়াতে পারিবারিক ভাবে বিয়ের আয়োজনের প্রথা বেশ আগেই উঠে গেছে। তাই স্বাস্থ্য এবং কল্যাণ মন্ত্রণালয়ই ২০১০ সাল থেকে এ ধরনের ডেটিং পার্টির আয়োজন করে থাকে। তৎকালীন মন্ত্রী চেয়ন জায়ে-হীর উদ্যোগে ওই বছর চারটি ডেটিং পার্টির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের মিলন মেলা তখন মিডিয়ার বেশ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। ওই ডেটিং পার্টিতে সাক্ষাৎ পাওয়া প্রথম যুগলের বিয়ের আয়োজন তিনি নিজেই করেছিলেন। এ বিয়ের বিষয়টিও বেশ ফলাও করে প্রচার পেয়েছিল। এর পর থেকেই এ বিষয়টি প্রধান মন্ত্রণালয়ের সহযোগী সংস্থা এবং স্থানীয় সরকারের দায়িত্বে চলে যায়। এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়ের আয়োজন এবং শিশু জন্ম হার বৃদ্ধিতে অবদান রাখার জন্য এসব প্রতিষ্ঠানকে আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করার ব্যবস্থা করা হয়। সিউলে এ ধরনের ডেটিং পার্টির আয়োজন করে মিউনিসিপ্যাল গর্ভনমেন্ট রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। প্রচলিত ঘটকালির বিষয়কে তরুণ প্রজন্ম বেশ সেকেলে মনে করে। তাই সরকারি কর্মকর্তাই এ ধরনের ডেটিং সার্ভিসের আয়োজন করছে না। বিভিন্ন কর্পোরেট হাউজগুলোতে বয়স্কদের সমাজে দকর্মীর অভাবের আশঙ্কায় অফিসে রোমান্সের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এমনকি কোন কোন অফিস এ ধরনের ডেটিং সার্ভিসে যোগ দেয়ার জন্য তাদের স্টাফদেরকে আর্থিক প্রনোদনাও দিচ্ছে। এসব উদ্যোগের পাশাপাশি সেখানে অনলাইন ডেটিং সার্ভিসও রয়েছে। তবে তরুণ কোরিয়ানদের অনেকেই নিজে নিজে জীবন সঙ্গী খুঁজে নিতে অস্বস্তি বোধ করেন। অনেকেই এ জন্য কোম্পানির ওপর নির্ভর করেন। কারণ কোম্পানি তাদের বিস্তারিত তথ্য যোগাড় করে উপযোগী সঙ্গীর সন্ধানের ব্যবস্থা করে। এখন পর্যন্ত এ ধরনের উদ্যোগের বেশ মিশ্র ফলাফল পাওয়া গেছে। কোরিয়ান সমাজে বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরেই এ ধরনের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাই আগে থেকে কোন তথ্য না জেনে আনুষ্ঠানিক ভাবে কারো সঙ্গে সাাতের পর চূড়ান্ত সম্পর্কে গড়ানোর বিষয়টি অনেকটা কঠিন হয়ে উঠে।
সমাজ বিজ্ঞানীরা বলছেন ১৯৮০ দশক পর্যন্ত দণি কোরিয়ার তরুণরা পাত্রী খোঁজার েেত্র পারিবারিক যোগসূত্র এবং ঘটকদের ওপরই নির্ভর করতো। পূর্ব পূরুষের এলাকাতে বসবাস করার কারণে বাবা-মায়ের পওে সন্তানের জন্য উপযুক্ত পাত্রী সন্ধান করা বেশ সহজ ছিল। এেেত্র পারিবারিক অবস্থান এবং জন্ম তারিখকেই বেশি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হতো। তবে দণি কোরিয়াতে নগরায়ন এবং শিল্পায়ন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এ প্রথা বিলুপ্ত হতে শুরু করে। তাই প্রচলিত চেনাশোনা বাদ দিয়ে তারা ঝুঁকে পড়ে বিভিন্ন ডেটিং সার্ভিসের ওপর। এেেত্র বন্ধুবান্ধবের মাধ্যমে পরিচিত জনের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টিও বেশ গুরুত্ব পেতে শুরু করে। তবে সমপ্রতি শহুরে তরুণরা অভিযোগ করতে শুরু করেছে যে, একে বারে চেনাজানা না থাকলে বন্ধুবান্ধবের মাধ্যমে গড়ে তোলা সম্পর্ক বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫