স্টাফ রিপোর্টার ॥
শ্রমিক অসন্তোষের মুখে কারখানায় ভাংচুরসহ লুটপাটের অভিযোগে আশুলিয়ায় একটি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার সকালে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার বাইপাইল মসজিদরোড এলাকার হানারো ফ্যাশন লিমিটেড কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি ৫৯ জন শ্রমিক ছাটাইয়ের তালিকাও টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই বিক্ষোভসহ কর্মবিরতি পালন করে আসছে এ এলাকার তিনটি কারখানার শ্রমিকরা।
এদিকে, আশুলিয়ার পুর্ব নরসিংহপুর এলাকার মেডলার এ্যাপারেল্স লিমিটেডর শ্রমিকরা কারখানার এ্যাডমিন জি.এম শহীদ, এ্যাডমিন ম্যানেজার হাফিজ এবং পি.এম সিদ্দিকের বিরুদ্ধে কারখানার নারী শ্রমিকদের উপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে তাদের বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভসহ কর্মবিরতি পালন করে।এ ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ দোষী ব্যক্তিদের বিচার ও শাস্তি না দিয়ে উল্টো শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও ১৩০ জন শ্রমিককে তাদের পাওনা পরিশোধ না করে ছাটাই করেছে বলে জানিয়েছে শ্রমিকরা।
শনিবার সকালে মেডলার এ্যাপারেলস’র ছাটাইকৃত শ্রমিকরা চাকরিতে পুনর্বহাল ও শ্রম আইন অনুযায়ী তাদের পাওনাদি বুঝিয়ে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।মিছিলটি কারখানার দিকে যেতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ।
এছাড়াও মেডলার গ্রুপের শ্রমিকদের উপর কর্তৃপক্ষের অসহনীয় নির্যাতন বন্ধে আশুলিয়ার সব শ্রমিকদের সহযোগিতা চেয়ে বিভিন্ন দেয়ালে পোস্টার লাগিয়েছে ছাটাইকৃত শ্রমিকরা।
শিল্প এলাকার শ্রমিকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করায় যেকোনো সময় বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসীসহ শিল্প সংশ্লিষ্টরা।
অন্যদিকে আশুলিয়ার পুকুরপাড় এলাকার লুসাকা গ্রুপে শ্রমিক অসন্তোষ ও ভাংচুরের ঘটনায় কারখানার শ্রমিকদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে কর্তৃপক্ষ। দাবি আদায়ে টানা কয়েকদিন কর্মবিরতি ও বিক্ষোভের পর বর্তমানে কারখানাটি চালু থাকলেও মামলার কারণে নিশ্চিন্তে কাজে যোগ দিতে পারছেনা বলে জানিয়েছে শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের অভিযোগ, সারা বছর ধরে আমরা মালিকদের অন্যায়-অত্যাচার সহ্য করে কাজ করে আসছি। এখন সামনে ঈদ কর্তৃপক্ষ আমাদের বেতন-বোনাস না দিয়ে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায় প্রতিনিয়ত পুলিশ আমাদের বাসা-বাড়িতে খোঁজ করে এবং কাউকে সামনে পেলেই কারখানা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ধরে নিয়ে থানায় আটকে রাখে।
এ ব্যাপারে শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, যোকোনো ধরণের নাশকতামূলক পরিস্থিতি এড়াতে শিল্পাঞ্চলের গুরুত্বপুর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।