স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের উত্থান অপপ্রচার উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ধর্মান্ধ না। এ দেশের লোকজন অসাম্প্রদায়িক। অন্য ধর্মকে শ্রদ্ধা করে কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের সরকার এ বিয়ষটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সংবিধানে আল্লাহর ওপর বিশ্বাসের ধারা তুলে ধর্ম নিরপোতা নিয়ে এসে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। সংবিধান পরিবর্তন করে সরকার দলীয় চিন্তাভাবনা চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে।’
রাজধানীর একটি হোটেলে শুক্রবার বিকেলে খেলাফত মজলিসের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আগামী জাতীয় নির্বাচন অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতোই হবে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিলেতে তো বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যা মামলা, গাড়ি পুড়ানো মামলা, গুম আর খুন করা হয়নি। আপনি কী গণতন্ত্রের লেশমাত্র রেখেছেন, যে কারণে বিলেতের মতো বাংলাদেশে নির্বাচন হবে?’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্রের কথা ভেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারর ব্যতিত বিকল্প কোনো সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। ভিন্ন চিন্তা, ভিন্ন সংস্কৃতি আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে এ দেশে দলীয় সরকারের অধীনে ১৮ দল কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।’
ধর্মপ্রাণ মানুষগুলোকে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্দলীয়, নিরপে সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।’
তিনি সরকারর প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘পাঁচ সিটির মতোই আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মাধ্যমে নির্দলীয় নিরপে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলীয় ভারপ্রাপ্ত চিফ হুইপ শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদওয়ান আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাৎ হোসেন সেলিম প্রমুখ।