চান্দনা চৌরাস্তার আবাসিক হোটেল গুলোতে চলছে পতিতা ব্যবসা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় আবাসিক হোটেল ব্যবসার আড়ালে দেদারছে চলছে পতিতা ব্যবসা। বিনিময়ে পুলিশ প্রশাসন ও মাস্তানরা পাচ্ছে মাসুহারা।
বাইপাস বিশ্বরোড থেকে চৌরাস্তার আশপাশে ১০টি আবাসিক হোটেল রয়েছে। অধিকাংশ হোটেল গুলো মিনি পতিতালয়ে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ হোটেল দিন-রাত এ ব্যবসা করে যাচ্ছে। এক একটা হোটেলে গড়ে প্রায় ৪০ জন যৌনকর্মী কাজ করছে। খদ্দেরদের কাছ থেকে যা কামান তার ফিপটি ফিপটি ভাগ করে নেয় যৌনকর্মী ও হোটেল মালিক। তাদেরকে নিরাপত্তার অভয় দিচ্ছে মালিকগণ। মাসুহারা দিয়ে ঠেকাচ্ছেন পুলিশ ও মাস্তানদের। একক ভাবে সাধারণ মানুষরা প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। প্রতিবাদ করলে হেনস্তা হতে হয় যৌনকর্মী কিংবা মাস্তানদের হাতে। এ এলাকার প্রতিটি যৌনকর্মী গড়ে প্রতিদিন ২০-৩০জন খদ্দেরদের মনোরঞ্জন দিয়ে থাকে। যৌনকর্মীরা সময় মেপে খদ্দেরদের নিকট থেকে ফি নিয়ে থাকে। কাজ করার আগেই তাদের মধ্যে মৌখিক চুক্তি হয়ে থাকে। দিনের বেলায় ২০-৩০মিনিট সময় হোটেল কামরার গোপন কক্ষে মনোরঞ্জন (ওয়ান শট) করার জন্যে একজন খদ্দেরকে দিয়ে হয় ৫শ’ টাকা। একঘন্টা সময়ের জন্যে গুণতে হয় এর দ্বিগুণ।
সকাল থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত প্রতিটি যৌনকর্মী জোড়া বেধে সাধারণ মেয়েদের মতো এ এলাকার পাবলিক প্লেস গুলোতে ঘুড়াফেরা করে থাকে। এর অধিকাংশ সাধারণত ভদ্র মেয়েদের মতো ভোরকা পরে মূখ ডেকে চলা ফেরা করে। হঠাৎ দেখে এদের বুঝার মতো কিছু নেই। তবে লক্ষ্য করলে তাদের চাল-চলন একটু ভিন্ন। দৃশ্যত তাদের বেশির ভাগ সময় চৌরাস্তার মোড়ের পশ্চিম অংশে দেখা যায়। খদ্দের খোঁজতে ঘুরাফেরার মূল কারণ। কোন যুবক দেখলে এরা নিজ থেকে অফার করে। ‘লাগবে কি না’ ‘যাবেন কি না’ অথবা চোখের ইশারায় ইত্যাদি শব্দ বা অঙ্গভঙ্গির ব্যবহারে করে। এক্ষেত্রে সব যুবককে তারা অফার করে না। কাকে বলা যাবে আর কাকে বলা যাবে না তা তাদের অভিজ্ঞ রয়েছে, এ ক্ষেত্রে সাধারণত তাদের মিস হয় না। যেতে রাজি হলে দর কষাকষি চলে। পরে আগ-পিছ হয়ে তাদের নির্ধারিত হোটেলে নিয়ে যায়। এভাবে যত খুশি সকাল থেকে রাত গভীর পর্যন্ত খদ্দের সংগ্রহ করে। যে যত বেশি খদ্দের সংগ্রহ করতে পারবে তার তত বেশি ইনকাম। এক্ষেত্রে যাদের একটু বেশি লজ্জা-শরম কিংবা ভিআইপি স্টাইলে চলে তারা ঘুরাফেরা করে খদ্দের যোগার করতে অনিহা। তারা হোটেল গুলোতেই অবস্থান করে। আবার তাদের মধ্যে কেউ নিজ বাসা-বাড়িতেই অবস্থান করে কল করলে হোটেলে চলে যান। তাদের খদ্দের যোগান দেন হোটেল ম্যানেজার আর হোটেল বয়রা। ভিআইপি খদ্দেরদের সাথে টাকার সমস্যা নেই। ভাল জিনিস হলে কদরই বেশি। (চলবে)

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫