শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > ফুলে ফুলে ঢেকে গেছে জাতীয় কবির সমাধি।

ফুলে ফুলে ঢেকে গেছে জাতীয় কবির সমাধি।

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥

আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৫তম জন্মবার্ষিকী। ফুলে ফুলে ঢেকে গেছে জাতীয় কবির সমাধি। রোববার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে জাতীয় কবির মাজারে হাজারো মানুষ ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।

সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। এরপর শ্রদ্ধা জানান কবির নাতনী খিলখিল কাজী ও কবি পরিবার।

এরপরেই আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

সকাল ৭টা ১৭ মিনিটে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রুহুল কবির রিজভী, কন্ঠশিল্পী মনির চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এরপর একে একে বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন জাতীয় কবির সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, ঢাবির বিভিন্ন হল, বাংলা একাডেমী, শিল্পকলা একাডেমী, নজরুল ইনস্টিটিউট, জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী শিল্পী গোষ্ঠী, জাতীয় গ্রন্থাগারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

শুভেচ্ছা জানানোর পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে জাতীয় কবির গান পরিবেশন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ সময় সেখানে ঢাবি ভিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক এবং কবি পরিবার উপস্থিত ছিলেন।

কবির নাতনী খিলখিল কাজী কবির জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে বলেন, বর্তমানে নজরুলকে শুধু জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতেই স্মরণ করা হয়। জাতীয় কবি উপাধি দেয়া হলেও প্রকৃত পক্ষে গান, নাটক ও চলচ্চিত্র কোন জায়গাতেই কবির অবস্থা বিরাজমান নেই।

তিনি বলেন, নজরুলের লেখা গান, নাটক, উপন্যাস অনুবাদ করে বিভিন্ন ভাষায় ছড়িয়ে দিতে হবে। তিনি শুধু শহরের কবি নন তিনি সকল দেশের সকল স্থানের কবি।

ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, কবি নজরুল বিদ্রোহী কবি। তার লেখার মধ্যে বিদ্রোহ ফুটে ওঠে। আমাদের উচিত সবাইকে নজরুলমুখী হওয়া।

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার জাতীয় কবিকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি অসাম্প্রদায়িক, আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করেছেন।

বাংলাদেশ একটি কারাগারে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র আজ বিপন্ন। এই সময়ে জাতীয় কবির মতো একজন লোক খুবই প্রয়োজন।

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ১৯৭১ সালে নজরুলের যেমন প্রয়োজন হয়েছিল একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে, বর্তমানেও তার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি অন্যায় অবিচার ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।

মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, কবি নজরুল সব সময় সমাজ থেকে অন্যায় অবিচার দূর করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তার যে স্বপ্ন ছিল তা আজ বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা শুধু তাকে এই মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখি। অথচ তিনি আমাদের জাতীয় কবি।

বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম