বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
সদস্য বাড়াতে নতুন কৌশল নিয়েছে জামায়াত। ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে নতুন সদস্য সংগ্রহ করছে দলটি। এই কৌশলের আওতায় থাকছে রুকন এবং কর্মীদের নিজ নিজ পরিবার ও আত্মীয় স্বজন। জামায়াতের নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। জামায়াতের গঠণতন্ত্র অনূযায়ী দলটিতে ৩টি স্তর রয়েছে। সেগুলো হলো- সহযোগী সদস্য, কর্মী, রুকন। দলটির গঠণতন্ত্র বলছে, গ্রপভিত্তিক আহ্বান (জামায়াতের ভাষায় দাওয়াতী কাজ) ও সাধারণ সভা-সমাবেশের মাধ্যমে দলে নতুন সহযোগী সদস্য বাড়ানো হবে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সে অনুযায়ী সহযোগী সদস্য অন্তর্ভুক্ত করে আসছে জামায়াত।
জামায়াতের সূত্র মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের বিরুদ্ধে হয়রানি, গ্রেফতার, মামলা, হামলাসহ রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ করতে না দেয়ার কারণে আশানুরূপ সদস্য সংগ্রহ করতে পারেনি দলটি। এমতাবস্থায় নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করেছে জামায়াত।
সূত্র মতে, ১০ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত দলের রুকন ও কর্মীদের সদস্য সংগ্রহের টার্গেট নির্ধারণ করে দিয়েছিল নীতি নির্ধারণী ফোরাম। এই ২০ দিনে ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতি রুকনকে কমপক্ষে ৩৫ জন করে নতুন সদস্য সংগ্রহ করার টার্গেট বেধে দেয়া হয়। আর প্রতি কর্মীর জন্য টার্গেট ছিল ২৫ জন করে।
জামায়াতের দেয়া তথ্যমতে, এই কৌশলে শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরীতেই প্রায় দুই লাখেরও বেশি লোক নতুন সহযোগী সদস্য হিসেবে ফরম পূরণ করেছে। গত মঙ্গলবার দলের সকল মহানগরী ও জেলা শাখাগুলো এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন কেন্দ্রিয় ফোরামে জমা দিয়েছে।
সূত্রটি বলছে, নতুন সদস্য বাড়াতে ১ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত আরেকটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জামায়াত। তাহলো- রুকন ও কর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, নিজেদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের মধ্য থেকে সহযোগী সদস্য সংগ্রহের ব্যাপারে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে হবে এবং এ লক্ষ্যে তাদের দিয়ে ফরম পূরণ করাতে হবে । (আ.সময়.কম)
বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম