মির্জাগঞ্জ(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ
মির্জাগঞ্জে নিম্নমানের ইট দিয়ে চলছে রাস্তা নির্মানের কাজ।মানছে না কতৃপক্ষের নিষেধ। এমনই অভিযোগ এলাকাবাসীর।
জানাযায়, দীর্ঘ বছর ধরে উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মজিদের দোকানের সামনের এইচবিবি রাস্তা হইতে পরিতোষ বেপারীর বাড়ির সামনে কার্পেটিং পর্যন্ত ১ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তায় দূর্ভোগের শেষ ছিলো না এলাকাবাসীর। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে হাঁটু সমান পানি- কাদা মাড়িয়ে চলতে হতো।এলাকাবাসীর কষ্ট লাঘবের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে ও অর্থায়নে রাস্তাটি এইচবিবি(কার্পেটিংয়ের উদ্যোগ গ্রহন করে উপজেলা প্রশাসন। দরপত্র আহ্বান করা হলে
৮৩ লাখ ৭৩ হাজার ৬শত টাকায় ব্যয়ে কাজটি পায় পটুয়াখালীর মের্সাস সিকদার কনস্ট্রাকশন এন্ড কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।কিন্তু কাজের শুরুতেই নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ উঠে।এই তথ্য পেয়ে গত ১৫ এপ্রিল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যেয়ে কাজ বন্ধ করে এবং পঁচা ইট অপসারণের নির্দেশ দেন। স্থানীয়দের অভিযোগ এখনো পঁচা ইটগুলো সড়িয়ে নেয়নি এবং ফাঁকে ফাঁকে ওই ইট দিয়ে রাস্তার কাজ চলছে।সরেজমিনে স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা জানান, চুলার মাটি দিয়ে রাস্তা করছে। কয়দিন পরেই বৃষ্টিতে কাঁদা হয়ে যাবে। এছাড়াও অগের থেকে রাস্তা নিচুঁ হচ্ছে। রাস্তায় বেড কাটছে কম, বেডি বালি ফিলিং করছে কম। রাস্তার কাজ চলাকালীন সময়ে মিস্ত্রির কাছে জানাতে চাইলে বলেন, ভালো ও মন্দ ইট মিলিয়েই কাজ হচ্ছে।
ঠিকাদার মোঃ রুবেল বলেন, এখন কাজ বন্ধ আছে। ওই ইটগুলো সড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। ভালো ইট দিয়ে কাজ শুরু করা হবে।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস মিয়া বলেন, সংবাদ পেয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি এবং নিম্নমানের ইট অপসারণের জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। এরপর ও যদি নিম্নানের সামগ্রী ব্যবহার করে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন,নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে প্রেরণ করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে৷ ভবিষ্যতে বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটরিং করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।