শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > ৯ মাসে ক্রসফায়ার ও হেফাজতে ১২৫ জনের মৃত্যু

৯ মাসে ক্রসফায়ার ও হেফাজতে ১২৫ জনের মৃত্যু

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ও ক্রসফায়ারে ১২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে সাদা পোশাকে ৫০ জনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে সাতজন ফিরে আসেন। দুইজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনজনকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার দেখিয়েছে। গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা গেছে ৪০ জন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক পরিসংখ্যানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এ চিত্র তুলে ধরা হয়।
আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৯ মাসে কারা হেফাজতে মারা গেছেন ৩৮ জন। রাজনৈতিক সংঘাতে নিহত হয়েছেন ৪৪ জন এবং আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৫০৬ জন। দেশে বিভিন্ন স্থানে ৩৫ বার ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৫৮৮ নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩৩ নারীকে। ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ১১ নারী। এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে ৭৭ নারীর ওপর। এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন ২৭ নারী। ১ হাজার ২১৭ জন শিশু নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে।৮৩ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। এছাড়া সমকালের স্থানীয় প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মেয়রের গুলিতে নিহত হন। সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ১০ জন ও শারীরিক নির্যাতনে ৬ জন নিহত হয়েছেন। অপহরণের শিকার হয়েছেন ৩৭ জন। ফেরত এসেছেন ১৩ জন। রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের মাধ্যমে ১০৭ নারীকে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে, চলতি বছরের আগস্টে সারাদেশে ১৪৩টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি)। এ হত্যাকাণ্ডের হার ব্যাপকভাবে বাড়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএইচআরসি জানায়, আগস্টে যৌতুকের কারণে চারজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি পারিবারিক সহিংসতায় ১৮ জন, সামাজিক সহিংসতায় ৪৯, রাজনৈতিক কারণে চারজন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সাতজন, চিকিত্সকের অবহেলায় চার, অপহরণে সাতজন, গুপ্ত হত্যাকাণ্ড চার, রহস্যজনক মৃত্যু ৪১, ধর্ষণের পর হত্যা পাঁচ, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২২২, আত্মহত্যা করেছে ২১ জন। সূত্র : ইত্তেফাক এবং ডেইলি স্টার