শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ৯টি অভিযোগ প্রমাণিত: আলীমের আমৃত্যু কারাদণ্ড

৯টি অভিযোগ প্রমাণিত: আলীমের আমৃত্যু কারাদণ্ড

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আব্দুল আলীমকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বুধবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-২ এ রায় ঘোষণা করেন। আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে আনীত ১৭টি অভিযোগের মধ্যে ৯টি প্রমাণিত হয়। অপরাধের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়ার কথা থাকলেও বয়স বিবেচনায় তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল-২ এ ১৯১ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংপে পাঠ শুরু হয়। এর আগে সকাল ৯টা ৪৭ মিনিটে একটি সাদা রংয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে আলীমকে হাইকোর্ট সংলগ্ন ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।

একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, দেশত্যাগে বাধ্য করা এবং এসব অপরাধে উস্কানি ও সহযোগিতার ১৭টি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে।

রায়কে ঘিরে সকার থেকেই সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও আশেপাশের এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

গত ২২ সেপ্টেম্বর মামলার কার্যক্রম শেষে রায়ের জন্য অপেমাণ রাখে ট্রাইব্যুনাল। মামলাটি রায়ের জন্য ১৭ দিন অপেমাণ ছিল। ওইদিন আলীমের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

গত বছরের ১১ জুন আলীমের অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। এরপর টানা এক বছর তিন মাস শেষে মামলার কার্যক্রম শেষ হয়।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে আসামিপে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। এর আগে গত ৪ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার কার্যদিবসে প্রসিকিউশন প্রথম পর্যালয় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।

আলীমের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তাসহ প্রসিকিউশনের ৩৫ জন সাী স্যা দিয়েছেন। এ ছাড়া তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেয়া ২ জনের জবানবন্দিকেই স্যা হিসেবে গ্রহণ করেছে ট্রাইব্যুনাল। এদিকে আলীমের পে তিন জন সাফাই সাী স্যা দিয়েছেন।

এর আগে গত বছরের ২৩ মে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার জন্য ট্রাইব্যুনাল আদেশের দিন ধার্য করে দেন। ওই দিন একই সঙ্গে তার জামিনের মেয়াদ ১১ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর কয়েক দফা তার জামিন বাড়ানো হয়।

গত ১৫ মার্চ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) রেজিস্ট্রারের কাছে দাখিল করেন প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত। গত ২৭ মার্চ তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।

মুক্তিযুদ্ধের সময় অপহরন, হত্যা, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আলীমের বিরুদ্ধে তিন হাজার ৯০৯ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। এতে সাত ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের ২৮টি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপরে আনা মোট ২৮টি ঘটনার ১৭টি অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল এ অভিযোগ গঠন করেনের আদেশ দেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত বছরের ২৭ মার্চ জয়পুরহাটের বাড়ি থেকে আলীমকে গ্রেফতার করা হয়। ৩১ মার্চ তাকে এক লাখ টাকায় মুচলেকা এবং ছেলে ফয়সাল আলীম ও আইনজীবী তাজুল ইসলামের জিম্মায় জামিন দেন ট্রাইব্যুনাল।