রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ৬ মাসে ওটিসিতে ৬১টি কোম্পানির লেনদেন হয়নি

৬ মাসে ওটিসিতে ৬১টি কোম্পানির লেনদেন হয়নি

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেয়ারবাজারের ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) ৬১টি কোম্পানির এক টাকাও লেনদেন হয়নি। তবে সাতটি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে মাত্র ৮০ লাখ ৪৭ হাজার ১০ টাকা। এ সময়ে কোম্পানিগুলোর ১ লাখ ৫১ হাজার ২৭৬টি শেয়ার কেনাবেচা হয়। বর্তমানে এ মার্কেটে ৬৮টি কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে নিয়মিত লেনদেন হয় ১২টি কোম্পানির। অথচ এই বাজারে কোম্পানিগুলোর সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ৬৪৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, গত ছয় মাসে ওটিসি মার্কেটে লেনদেনের শীর্ষ স্থানে ছিল বেঙ্গল ফাইন সিরামিকস। কোম্পানিটির এক লাখ দুই হাজার ৭৬টি শেয়ার ৭৬ লাখ ৫৫ হাজার ৭০০ টাকায় লেনদেন হয়। এরপরেই রয়েছে রহমান কেমিক্যালস। এ কোম্পানির ১২ হাজার শেয়ার ২ লাখ ৪১ হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় অবস্থানে ছিল মুন্নু ফেকিব্রকস। কোম্পানির ২৭ হাজার শেয়ার ১ লাখ দুই হাজার ৫০০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এছাড়া বাকি সাতটি কোম্পানির মধ্যে এপেক্স ওয়েভিংয়ের সাত হাজার ৪০টি শেয়ার ৩৩ হাজার ৫২০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। আশরাফ টেক্সটাইল মিলসের দুই হাজার শেয়ার সাত হাজার ৯০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ডের ১৬০টি শেয়ার ৪ হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে। আর পদ্মা সিমেন্ট মিলসের ১ হাজার শেয়ার তিন হাজার দুই শ’ টাকায় লেনদেন হয়েছে। বর্তমানে ওটিসি মার্কেটে ৪১ কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার শেয়ার রয়েছে। পরিশোধিত মূলধন ৬৫৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। গত ছয় মাসে ৬১টি কোম্পানির এক টাকাও লেনদেন হয়নি। এসব কোম্পানি হলো: প্রকৌশল ও খাদ্য খাতের মেটালেক্স করপোরেশন, বেমকো, আমাম সি ফুড, টিউলিপ ডেইরি, বেঙ্গল বিস্কুট, রাসপিট ইনকরপোরেশন, মোনা ফুড, গচিয়াহাটা অ্যাকুয়াকালচার, বায়োনিক সি ফুড, রাঙ্গামাটি ফুড, জার্মান-বাংলা ফুড। পাট খাতের কোম্পানি সালেহ কার্পেট, বস্ত্র খাতের খাতের জিএমজি ইন্ডাস্ট্রিজ, ঈগল টেক্সটাইল, আরবি টেক্সটাইল, ডাইনামিক টেক্সটাইল, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, মিতা টেক্সটাইল, এম. হোসেন গার্মেন্ট, সজীব নিটওয়্যার, চিক টেক্সটাইল রয়েছে এই তালিকায়। বাকি কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের পেট্রো সিনথেটিকস, ফার্মাকো, বিসিআই, ওয়াটা কেমিক্যালস, পারফিউম কেমিক্যালস, আলামিন কেমিক্যালস, পেপার খাতের পদ্মা প্রিন্টারস, পেপার প্রসেসিং, ম্যাক পেপার, ম্যাক এন্টারপ্রাইজ, আইটিসি’র রাসপিট ডাটা, চামড়া খাতের ফিনিক্স লেদার, লেক্সো, বিবিধ খাতের বিডি লাগেজ ও রোজহেভেন বলপেন, আলফা টোব্যাকো বাংলাদেশ ডায়িংয়ের বিডি মনোস্পুল পেপার, বাংলাদেশ লাগেজ, বাংলাদেশ জিপার এক্সেলসিয়র সুজ, মেঘনা শ্রিম্প, মডার্ন সিমেন্টে, পদ্মা প্রিন্ট, পেপার প্রসেসিং, কাসেম সিল্কের, শ্রীপুর টেক্সটাইল ও ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েজ। শেয়ারবাজারে সবচেয়ে দুর্বল, পুঞ্জীভূত লোকসান সম্পন্ন কোম্পানিগুলো নিয়ে ২০০৯ সালের ৫ই অক্টোবর দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ওটিসি মার্কেট চালু করা হয়। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বেশিরভাগই বার্ষিক সাধারণসভা (এজিএম) না করা, শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেয়া এবং স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্তি নবায়ন ফি বকেয়া পড়ায় বিভিন্ন সময়ে প্রধান বাজার থেকে কোম্পানিগুলোকে তালিকাচ্যুত করা হয়। এছাড়া কাগজের শেয়ারকে ইলেকট্রনিক শেয়ারে রূপান্তর বা ডিম্যাট না করার কারণেও কয়েকটি কোম্পানিকে ওটিসিতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।