বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
ধারা কমলেও ধার কমছেনা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের বদলে আসছে, নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এতেও আছে জামিন অযোগ্য ধারা। বরং পরিধি আরো বাড়ছে।
৫৭ ধারায় যে বিষয়গুলো ছিলো, সেটিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শুধু শব্দ আর ধারাগত পরিবর্তন এনে অপরাধযোগ্য হিসেবে করা হয়েছে। একে বাক-স্বাধীনতা হরণের নতুন পদক্ষেপ বলছেন আইনবিদরা।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৯৫ ধারার পরিবর্তে ৪৪টি ধারা ঠেকেছে নতুন আইনটিতে। কিন্তু নতুন আইনের সঙ্গে যক্তু হচ্ছে অজামিন যোগ্য আরো ৫ টি ধারা। যা আগের আইনের ক্ষেত্রে ছিলো মাত্র ৪ টিতে। নতুন আইনটিকে আরো বর্ধিত করা হয়েছে। এতে বেআইনি প্রতিবন্ধকতা, সন্ত্রাসী সম্পদ, আইনের অতিরাষ্ট্রীয় প্রয়োগ, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি ও কাউন্সিল গঠন এবং এর প্রয়োগকে নতুন করে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। যার মাধ্যমে- সরকার, দেশের জন্য ক্ষতি হতে পারে, এমন প্রচেষ্টা ঠেকাতে বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রতিষ্ঠান গঠন করে তল্লাসি ও তদন্ত চালাতে পারবে। বাজেয়াপ্ত করতে পারবে সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পদও।
এমনকি বাংলাদেশের বাইরে বসেও যদি কর্মকাণ্ড করা হয়, যা এই আইনের অধিনে পড়ে, সেটিকেও বিচারের আওতায় আনা হয়েছে ।
আগের আইনে ৫৭ ধারায় ইলেকট্রনিক ফর্মে মিথ্যা, অশ্লীল আর মানহানিকর তথ্যের জন্য যেটা অজামিনযোগ্য করা হয়েছিলো সেটা নতুন আইনে এই অপরাধ সমুহ ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে করা হয়েছে জামিনযোগ্য।
এ বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, নতুন আইনের যে খসড়াটা আমরা দেখতে পাচ্ছি, তাতে আগের আইনে ৫৭ ধারায় যে কথাগুলো ছিলো, ঘুরে ফিরে সেই কথাগুলোই এসেছে। হয়তো দু’একটা কথা এদিক-ওদিক হয়েছে।
শাহদীন মালিক আরও বলেন, আমাদের আইনগুলো এখন যেভাবে রচনা হচ্ছে সেগুলো নূনতম নিয়ম না মেনে, আইনের মূল ধারার সাথে সম্পৃক্ততা না রেখে, কোন প্রকার পড়াশুনা না করে এই আইনগুলো করা হয়েছে। ফলে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন হেনস্ত হচ্ছে।
একই আইনে ধারাগুলোকে আপসযোগ্য হিসেবে আনা হয়েছে। সেই সাথে সরল বিশ্বাসে করা কোন অপরাধের জন্য কোন কর্মকর্তা বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা না নেওয়ার বিধানও রাখা হয়েছে এই আইনে। ব্যক্তির দোষের জন্য সেই খাতের ইন্টারনেট প্রভাইডার বা সার্ভিস কোম্পানিকে অভিযুক্ত করা যাবেনা। এ বিষয়টিও আইনে উল্লেখ করা হয়েছে। -তথ্যসূত্র : চ্যানেল টোয়েন্টিফোর