স্টাফ রিপোর্টার ॥
দেশে বর্তমান ভোটার তালিকায় ৪ লাখ ভোটারের গরমিল রয়েছে। ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হিসাবে এ গরমিল ধরা পড়ে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা ১৬ জুলাই নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার সময় জানিয়েছিলেন, ২০১৭ সালে বিদ্যমান ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ১৮ লাখ, যা ইসি প্রকাশিত কর্মপরিকল্পনায়ও রয়েছে। ২৫ জুলাই থেকে পরবর্তী হালনাগাদ কার্যক্রম শুরুর প্রাক্কালে তৎকালীন ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহও জানিয়েছিলেন, বর্তমানে ভোটার রয়েছে ১০ কোটি ১৮ লাখ ৪৩ হাজার ৬৬৭ জন। কিন্তু মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ হালনাগাদের খসড়া প্রকাশের সময় জানান, হালনাগাদের আগে ২০১৭ সালে ভোটার ছিল ১০ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৬০১ জন।
ভোটার সংখ্যার ‘গরমিলের’ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন বলেন, ওই তালিকা থেকে মৃত কিছু ভোটার কর্তন হয়ে থাকতে পারে। কাগজপত্র দেখে ১০ কোটি ১৪ লাখের তথ্য দিয়েছি। আগের বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।
নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, ২০১৭ সালে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় মৃত ভোটার বাদ দিয়ে ১০ কোটি ১৮ লাখ ৪৩ হাজার ৬৬৭ ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে ইসি। অথচ ২০১৮ সালে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় দেশের বর্তমান ভোটার সংখ্যা দেখানো হচ্ছে ১০ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৬০১ জন। সে ক্ষেত্রে ২০১৭ সালে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় মৃত ভোটার বাদ দেওয়ার পরও কীভাবে প্রায় ৪ লাখ ভোটারের তথ্য ‘উধাও’ হয়ে গেল এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম বলেন, তিনি এখনও সংখ্যাটি দেখেননি। দেখলে এ নিয়ে বিস্তারিত কথা বলতে পারবেন। তবে এটুকু বলতে পারি, ইসি যদি ভোটারের তথ্য নিয়ে গরমিল করে থাকে, তবে নাগরিকদের কাছে তাদের জবাব দিতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, ভোটার তথ্য দেয়া নিয়ে ইসির কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতার কারণে এ সমস্যা হয়েছে। আমাদের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। এ কারণে ভোটার সংখ্যায় গরমিল হয়েছে।