বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দেশে যে হত্যাযজ্ঞ হয়েছে তা সারা বিশ্ব জানে। অথচ এদেশের কোনো কোনো রাজনৈতিক দল সেদিন যে এ রকম একটা বর্বরোচিত ঘটনা ঘটেছিল- তাই স্বীকার করতে রাজি নয়। আমি তাদের উদ্দেশে বলব, সেই সময়কার বিদেশি গণামাধ্যমগুলো পড়ে দেখুন। দেখবেন কি নির্মমভাবে পাকিস্তানি শাসকরা নিরস্ত্র বাঙালির উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তাই ২৫ মার্চের গণহত্যার সব তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরতে হবে। এই সরকারই পারবে ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি এনে দিতে।
মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ইতিহাসবিদ ড. মুনতাসির মামুন আমাদের অর্থনীতিকে এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, আমরা চাই চলতি সংসদে ২৫ মার্চকে প্রথমে জাতীয় গণহত্যা দিবসের ঘোষণা দেওয়া হোক। তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবি জানিয়ে আসছি। গত মাসে সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস করতে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। তিনি আমাদের এই দাবির সঙ্গে আরও বলেছেন, তার সরকার এই দিবসকে আন্তর্জাতিকভাবে পালনে যা যা প্রয়োজন তাই করবেন বলে জানিয়েছেন।
মুনতাসির মামুন বলেন, এখনো মুক্তিযুদ্ধের বয়স ৫০ হয়নি। তাতেই দেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শহীদদের সংখ্যা নিয়ে অনবরত প্রশ্ন তুলেই চলেছেন। এতে বোঝা যায়, পাকিস্তানের এজেন্টরা এখনো বাংলাদেশে রয়েছে। সুযোগ পেলেই তারা তাদের ইচ্ছার বাস্তবায়ন ঘটাবে। তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ কালো আইন করে বন্ধ করে দিয়েছে। স্বাধীনতার বিরোধীদের গাড়িতে এদেশের পতাকা তুলে দিয়েছে। তারা যুদ্ধাপরাধীদের জন্য এখনো ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমের সমালোচনা করে। ভবিষ্যতে হয়তো এই ষড়যন্ত্রকারীরা বলবে, ২৫ মার্চে কিছ্ইু হয়নি। সেই রাতের ঘটনা দেখেছে, এমন প্রত্যক্ষদর্শীরা এখনো বেঁচে আছেন। তাদের কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা সরাসরি তরুণ প্রজন্মকে জানানো দরকার। যেন তারা এই ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বহন করতে পারে। তাছাড়া যদি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির চেষ্টা করা হয়, তাও এই সরকারকেই চেষ্টা করতে হবে। আমাদের সময়.কম