স্টাফ রিপোর্টার ॥ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাঙলা টিম, হরকাতুল জেহাদ, হিযবুত তাহরীরসহ ৬টি জঙ্গি গ্রুপ এবং হেফাজত ইসলাম, জামায়তে ইসলামীসহ উগ্র মৌলবাদী আরো ১০টি সংগঠনকে সাথে নিয়ে ২৫ অক্টোবর বিরোধী জোট বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। আর এতে মুখ্য ভুমিকায় থাকছে বরাবরের মত জামায়াত-শিবির।
সূত্র জানিয়েছে, আইন শৃঙ্খলা বাহীনীর কঠোর অবস্থানের ফলে তারা রাজধানীর ২০ স্পটকে ঘিরে ব্যাপক নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। বিশেষ করে যে সব এলাকায় র্যাব পুলিশের উপস্থিতি কম থাকবে সেই স্থান গুলোকে চিহ্নিত করে এ পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্র গুলো জানায়।
সুত্র জানায়, ইতোমধ্যে শিবিরের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কাডাররা জঙ্গি সদস্যরা রাজধানীতে ঢুকে পড়েছে। তারা নামে বেনামে বিএনপি এবং জামায়াত ইসলামের অধ্যুষিত এলাকায় অবস্থান করছেন। তবে তাদের এই পরিকল্পনা গোয়েন্দারা টের পেয়ে যাওয়ায় কেউ আবার রাজধানী ছেড়ে তোর পাশ্ববর্তী জেলা বা থানা শহরে আশ্রয় নিয়েছে। ২৫ অক্টোবর খুব ভোর ভিন্ন বেসে রাজধানীতে ঢোকার কথা রয়েছে। তাই দিন তারা দাড়ি, টুপি বিহীন জিন্সের প্যান্ট টি-শার্ট পরে নাশকতা চালাবে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান দিয়ে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর চালাতে পারে।
সূত্র আরো জানায়, ২৫ অক্টোবর সমাবেশের নেতৃত্ব বিএনপি দিলে বড় ধরণের কোন নাশকতায় একক ভাবে কেউ অংশ নিবে না। সবকিছু নির্ভর করছে জামায়াতে ইসলামের কাধে ভর করে। তবে এবার যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের কতিপয় নেতা-কর্মী সক্রীয় ভাবে সবধরণের নাশকতায় অংশ নেয়ার কথা শোনা গেছে।
এব্যাপারে র্যাবের গোয়েন্দা প্রধান কর্নেল জিয়াউল আহসান বলেছেন, যে কোন ধরণের নাশকতা রোধে র্যাব সর্বাত্মক কাজ করবে। নাশকতাকারীদের শক্ত হাতে দমন করা হবে। তিনি আরো বলেন, একটি গোষ্টি নাশকতা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে এ ধরণের খবর র্যাবের কাছে রয়েছে। নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে।
এদিকে যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে দেশজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ সদরদপ্তর সূত্র জানায়, শনিবার রাত থেকেই সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া থানাগুলোতেও জোরদার করা হয়েছে সতর্কতা। এমনকি মাঠে নেমে যারা অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধেও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ইব্রাহিম ফাতেমী বলেন, রাজধানীতে খোলা জায়গা কিংবা মিলনায়তন কোথাও কোনো সভা-সেমিনার করা যাবে না। এ নিষেধাজ্ঞার পরও যারা সভা-সমাবেশ করবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া যেকোনো ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ সর্তক রয়েছে বলে জানান তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, জামায়াত-শিবির ঢাকাসহ সারাদেশে নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে এমন সংবাদ রয়েছে। তারা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে। এজন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
