শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > ২০২০ সালের মধ্যে পোড়া ইটের ব্যবহার বন্ধ হবে : ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ

২০২০ সালের মধ্যে পোড়া ইটের ব্যবহার বন্ধ হবে : ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক :
কৃষি জমি রক্ষা করতে হলে, পরিবেশ বাঁচাতে এবং দুর্যোগের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে আগামী ২০২০ সালের মধ্যে পোড়া মাটির ইট ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।

শনিবার বাংলাদেশ প্রোকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিল ভবনে প্রমোটিং সাসটেইনেবল বিল্ডিং ইন বাংলাদশ প্রকল্প আয়োজিত আলোচনা সভায় গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ২০২০ সালের মধ্যে ইট প্রস্তুত খাতে পরিবেশ বান্ধব ও টেকসই প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চতকরণ, কৃষি জমির মাটি ব্যাবহার নিয়ন্ত্রণ এবং বিকল্প নির্মাণ সামগ্রী উৎপাদন ও ব্যবহারের লক্ষ্য স্থির করছে।
সরকারি নির্মাণ কাজে বিকল্প ইট ব্যবহারের জন্য প্রধান মন্ত্রী নির্দেশ প্রদান করেছেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে পরিবেশবাদী সংগঠনের মহাপরিচাক রেজওয়ানা চৌধুরী বলেন, সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে মোট ৬৭৪০টি ইট ভাটা রয়েছে যার প্রায় ৪০শতাংশই অবৈধ ফিক্সড চিমনি কিলন প্রযুক্তিতে পরিচালিত এবং নাম মাত্র আধুনিক প্রযুক্তি জিগজ্যাগ কিলনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে প্রায় ৬০ শতাংশ ইটভাটা।

বাংলাদেশে বার্ষিক ইটের চাহিদা প্রায় ১৫শ কোটি হলেও কোন খাতে কত ইট প্রয়োজন তার কোন হিসাব নাই এবং কেন খাতে কি পরিমান ইট ব্যবহৃত হয় তার ও কোনো হিসাব নাই। দেশে এক ফসলি জমির পরিমান প্রায় ২৩ লক্ষ ৫৪ হাজা হেক্টর যা আবাদ যোগ্য জমির ২৮ শতাংশ। মৃত্তিকা সম্পদ ইন্সটিটিউশনের তথ্যমতে ইট প্রস্তুতে যদি ৬ইঞ্চি গভীরতায় কৃষি জমির উপরি ভাগের মাটি ব্যবহার করা হয় তবে ৭০হাজার ইট তৈরীতে ১ হেক্টর কৃষি জমির প্রয়োজন। এর ফলে মাটির পুষ্টি উপাদান ক্ষয় প্রাপ্তির আর্থিক মূল্য বছরে ২৫ লক্ষ টাকা এবং ফসলের ক্ষয় ক্ষতির মূল্য বছরে ৬ লক্ষ টাকা। তাহলে ১৫কোটি মতান্তরে ৭ কোটি ইট উৎপাদনে কি পরিমান ক্ষতি হচ্ছে তা সহজে অনুমান করা যায়।

অপরিকল্পিত ইটভাটা প্রস্তুত এবং ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রনের জন্য আইন করা হয় যা আবার প্রয়োজন অনুসারে সংশোধন করে ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ করা হয় এবং ১লা জুলাই ২০১৪ থেকে কার্যকর হয়।

সৌজন্য: আমাদের সময়