স্টাফ রিপোর্টার ॥
আগামী অর্থবছরে বয়স্ক দেশে বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা আরো চার লাখ বাড়ানো হবে। বর্তমানে ৩৫ লাখ ব্যক্তি বয়স্ক ভাতা পাচ্ছে। চার লাখ বাড়ানো হলে তা ৩৯ লাখে উন্নীত হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বয়স্ক ও বিধবাদের ভাতার পরিমাণ বাড়াতে। তিনি শহরেও বিধবা ভাতা চালু করতে উদ্যোগ নেয়ার জন্য বলেন সমাজ কল্যান মন্ত্রনালয়কে।
জানা গেছে, বর্তমানে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের আওতায় বছরে দুই হাজার ১শ কোটি টাকা করে বয়স্ক ভাতা দিচ্ছে সরকার।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাজেট ও ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব সাঈদা নাইম জাহান বলেন, ১৯৯৭-৯৮ সালে এই কর্মসূচি যখন চালু করা হয় তখন ছিল মাত্র চার লাখ ৩০ হাজার। আর বর্তমানে তার সংখ্যা হচ্ছে ৩৫ লাখ। সরকারের জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি প্রতিবছরই এই সংখ্যা বাড়িয়ে থাকে। গত বছর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩১ লাখ ৫০ হাজার লোক ভাতা পেতেন। বর্তমানে ৩৫ লাখ বয়ষ্ক লোক প্রতিমাসে ৫শ টাকা হারে বছরে ছয় হাজার টাকা করে ভাতা পান । এতে বছরে মোট ব্যয় হয় হাজার ১শ কোটি টাকা। তিনি বলেন, প্রতি বছরই বাজেটে বয়স্ক ভাতার পরিমাণ বাড়ছে। এবারও বাড়ার সম্ভাবনা বেশি।
বেসরকারি সংস্থা প্রবীণ বন্ধুর নির্বাহী পরিচালক ডা. মহসীন কবির লিমন জানান, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন তথ্যসূত্র অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ প্রবীণ বা সিনিয়র সিটিজেন। ২০২৫ সাল নাগাদ প্রবীণদের সংখ্যা হবে প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ, ২০৫০ সালে প্রায় সাড়ে চার কোটি এবং ২০৬১ সালে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি দাঁড়াবে। ২০৫০ সালের দিকে এদেশের ২০ শতাংশ নাগরিক প্রবীণ হবেন এবং শিশুসংখ্যা হবে ১৯ শতাংশ। আরও লক্ষণীয় তথ্য হলো, বিশ্বের সর্বত্র অতি প্রবীণ যাদের বয়স ৮০ বছরের ওপরে তাদের সংখ্যা বাড়ছে দ্রুত হারে।
বাংলাদেশে বর্তমানে মানুষের গড় আয়ু ৭২ বছর ছাড়িয়ে গেছে। ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে বয়ষ্ক আর শিশু-কিশোরের সংখ্যা প্রায় সমান সমান হয়ে দাঁড়াবে। তাই বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সিনিয়র সিটিজেনদেরকে সামাজিক নিরাপত্তার কর্মসূচির আওতায় আনতে এখনই সরকারের কর্মসূচি নিতে হবে।