শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > খেলা > ১৯৯২ সালে পাকিস্তান পারলে আমরা পারব না কেন? বললনে সাবেক ক্রিকেটার নিয়ামুর রশিদ রাহুল

১৯৯২ সালে পাকিস্তান পারলে আমরা পারব না কেন? বললনে সাবেক ক্রিকেটার নিয়ামুর রশিদ রাহুল

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখন ঢিলেফেলার দল নয়! গেল কয়েক বছর দুর্দান্ত পারফরম করে ক্রিকেট পরাশক্তিসমূহের সমীহ আদায় করে নিয়েছে টাইগাররা। তাদের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে হালে সবাইকে চিন্তা করতে হয়।

এ দলটির পক্ষে আসন্ন আইসিসি-২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতাও সম্ভব বলে মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার নিয়ামুর রশিদ রাহুল। তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন, ১৯৯২ সালে পাকিস্তান পারলে আমরা পারব না কেন? বিশ্বকাপজয়ী ইমরান খান বাহিনীর চেয়ে ম্যাশ ব্রিগেড অনেক ভালো।

বিশ্ব পরিভ্রমণের অংশ হিসেবে বিশ্বকাপ ট্রফি এখন বাংলাদেশে। বৃহস্পতিবার সেটি প্রদর্শিত হচ্ছে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ও অত্যাধুনিক শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কে। সোনার ট্রফিটা একনজর দেখতে সেখানে দলে দলে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। এসেছিলেন ১৯৯৯ বিশ্বকাপে খেলা বাংলাদেশ দলের অন্যতম সদস্য নিয়ামুর রশিদ। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় দেশের ক্রিকেটের হালহকিত।

তিনি বলেন, বিশ্বভ্রমণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এসেছে বিশ্বকাপ ট্রফি। এটি আমাদের জন্য সৌভাগ্য। দেশের ক্রিকেটের জন্যও ভালো। এখনকার টাইগার দল অনেক বেশি শক্তিশালী। অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে ত্রাস ছড়ানো দল। ধারাবাহিকতা থাকলে অদূর ভবিষ্যতে আমরাও বিশ্বকাপ জিতব।

আগামী বছরের ৩০ মে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসে পর্দা উঠবে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরের। সেটি ঘরে ওঠারও স্বপ্ন দেখছেন রশিদ। নেপথ্যে তার যুক্তি, ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জেতে পাকিস্তান। সেই দলটি কেমন ছিল আপনারা জানেন। ইমরান বাহিনী খুব শক্তিশালী ছিল না। সেই আসরে তাদের কয়েকজন তরুণ খেলোয়াড়ের অভিষেক হয়। কয়েকজন ছিল পুরনো। তাদেরও খেলার অভিজ্ঞতা বেশি ছিল না। সেই দলটি যদি পারে আমরা পারব না কেন?

’৯২ বিশ্বকাপে রাইজিং স্টার ছিলেন ইনজামাম-উল-হক। উঠতি তারকা ছিলেন ওয়াসিম আকরাম, ইজাজ আহমেদ, মুশতাক আহমেদ, আকিভ জাভেদরা। নেতা ছিলেন ইমরান খান। তাদের নিয়েই স্বপ্নের শিরোপা জেতে পাকিস্তান। সেটি এখনও হয়ে আছে দেশটির প্রথম ও শেষ ট্রফি। সেই তুলনায় এখন বাংলাদেশ অনেক শক্তিশালী। তাদের চেয়ে অনেক বেশি অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে এ দলে।

জাতীয় দলের সাবেক মিডিয়াম ফাস্ট বোলার বলেন, বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তানের চেয়ে আমাদের এ দল ভালো। আমাদের রয়েছে মাশরাফির মতো নেতা, সাকিব-তামিম-মুশফিক-মোস্তাফিজের মতো ক্রিকেটার। নিজেদের দিনে তারাই সেরা। দলের কয়েকজন ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তাদের সেরাটা পাওয়া গেলে আমাদের বিশ্বকাপ জেতার সম্ভাবনা রয়েছে।

নিয়ামুর রশিদের মুখের কথায় ফুলচন্দন পড়ুক। মাশরাফির হার না মানা নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতুক বাংলাদেশ। বিশ্বমঞ্চে সোনালি ট্রফি উঁচিয়ে ধরুক টাইগাররা। পূর্ণ হোক প্রাপ্তির ষোলোকলা। তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলুক দেশের ষোলো কোটি ক্রিকেটপ্রেমী।