সোমবার , ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ , ৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > ১১ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ

১১ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ

শেয়ার করুন

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার ॥ ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হিসেবে আগামী ১৩ অক্টোবর হতে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত ১১ দিন সারা দেশের মতো কক্সবাজার জেলায়ও ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সময়ে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাত করণ,বিক্রি ও মজুত করা দ-নীয় অপরাধ হিসবে ঘোষণা ছাড়াও সাগরেনৌ-বাহিনীর অতিরিক্ত জাহান টহল, ম্যজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা ও বরফ কলের লাইসেন্স বাতিল সহ ২১ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী ১৩ অক্টোবর হতে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত ১১ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে সারা দেশেই। এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করতে অভিযানে থাকবে র‌্যাব, পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও নৌ-বাহিনী। মৎস্য অধিদপ্তর জেলা ও উপজেলা প্রশাসনও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকবে বলে গত ১ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান প্রজনন মৌসুম ইলিশ স¤পদ সংরণ ২০১৩ উপলক্ষে জেলা কমিটির সভায় উক্ত ২১টি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

প্রধান প্রজননমৌসুম ইলিশ সম্পদ সংরণ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসকমোঃ রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশনেন, কক্সবাজার মৎস্য গবেষণা ইনষ্টিটিউটের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তামোঃ জাহের, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, জেলাবোট মালিক সমিতির সভাপতি মুজিবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ স¤পাদক দেলওয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, জেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সভাপতি আশরাফ আলী ও জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি শ্রীমন্ত রাম দাস ।

সভায় জানানো হয়, প্রধান ইলিশ প্রজনন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে উপকূলীয় সাত জেলার ২১ উপজেলার ৭০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে। কক্সবাজার জেলায় ইলিশ আহরণ এলাকার পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর কুতুবদিয়া থেকে গ-ামারা পর্যন্ত।

উপকুলীয় কক্সবাজার এলাকায় ইলিশ প্রজনন নিশ্চিত করতে নদী ও বাজারে ক্রমাগত অভিযান পরিচালিত হবে। এ বছর ইলিশ নিষিদ্ধের এই সরকারি ঘোষণা কার্যকর করতে ব্যাপকভাবে লিফিলেট সহ ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। জেলেদের ছাড়াও সর্বসাধরণের সচেতনতার জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে । এ ছাড়া ১১দিনকোনবোট সাগরে না থাকেসে বিষয়েজেলা ফিশিংবোট মালিক সমিতি কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থধা গ্রহণ,এসময়ে গভীর সমুদ্রে সব ধরনের মাছ ধরার ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ট্রলার দ্বারা মাছ ধরা বন্ধ রাখার ব্যবস্থা, অবতরণ কেন্দ্র, আড়ৎ ও বাজার সমুহ পরিদর্শন টিম গঠন করা, এসময়ে কোন বোট , আড়ৎ বা ইলিশ বিক্রেতার নিকট রবফ সরবরাহ বন্ধ রাখা, বরফ বিক্রি করলে লাইসেন্স বাতিল সহ ২১ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয ও মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিযন (র‌্যাব) এবং জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সমনিতভাবে এ কার্যক্রম বাস্তবাযন করবে। এদিকে জেলা, উপজেলা ও বিভাগীয মৎস্য কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে ইলিশ প্রজননত্রেসহ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ মৎস্য অধিদপ্তরে কন্ট্রোলরুম স্থাপন, মনিটরিং, সমনয ও সার্বিক তত্ত¦াবধানের জন্য অন্যান্য টীম গঠন ও প্রেরণ করা হবে হবে বলে ওই সভায় জানানো হয়েছে।

এদিকে, ইলিশ আহরণ বদ্ধের উদ্যোগ যথাযথ হলেও প্রকৃতপে তা কতটুকু কাজে লাগবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ প্রজননম ইলিশ মাছ রা কমিটিসহ অন্যরা সুপারিশে নানা সমস্যা তুলে ধরেছে। উপকুলীয় বিভিন্ন জেলায় কোস্ট গার্ড, নৌ-বাহিনী ক্যাম্প নেই। আইন প্রয়োগে প্রয়োজনীয় জনবলেও অভাব রয়েছে। এছাড়া ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধের সময় জেলেদের প্রণোদনাও নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সুত্র।