শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > ীসড়ক সংস্কারে ব্যর্থ হওয়ায় প্রধান প্রকৌশলীকে শোকজ

ীসড়ক সংস্কারে ব্যর্থ হওয়ায় প্রধান প্রকৌশলীকে শোকজ

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক॥

ঢাকা: ঈদের আগে যথাসময়ে এ সড়কের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হওয়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলীকে শো’কজ করেছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একইসাথে যশোর-খুলনা মহাসড়ককে ‘যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের গলার কাঁটা’ উল্লেখ করে এর দায়িত্ব নিজেই নিলেন মন্ত্রী। আগামী তিনদিনের মধ্যে এ কাজ সম্পন্নের জন্য যশোর সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কুষ্টিয়া ও সাতক্ষীরা নির্বাহী প্রকৌশলীকে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে যশোর-খুলনা মহাসড়ক পরিদর্শনকালে যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, ৬৬ কিলোমিটার যশোর-খুলনা মহাসড়কের মাত্র ৩ কিলোমিটারের ভাঙ্গাচোরা। এর দেড় কিলোমিটার সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। বাকী দেড় কিলোমিটারের অবস্থা এখনও খারাপ।
এ মহাসড়ক ৭ বার পরিদর্শন করেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, যশোর-খুলনা মহাসড়ক যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কাঁটা সরাতে তিনি অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ইতোপূর্বে ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল করে নতুন ঠিকাদারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে বর্ষা শুরু হয়ে যাওয়ায় ঠিকাদার ঠিকমত কাজের সুযোগ পায়নি। কিন্তু সড়ক ও জনপথ বিভাগ যথাসময়ে সড়কটির সংস্কার কাজ সম্পন্নে ব্যর্থ হয়েছে।
এ জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলীকে শো’কজ করেন মন্ত্রী। একইসাথে আগামী তিনদিনের মধ্যে সড়কটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে যশোর সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দারের সাথে কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদি খান ও সাতক্ষীরার নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুদ্দিনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করেন।
মন্ত্রী মহাসড়কটির দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে বলেন, ঈদের পর দু’সপ্তাহের মধ্যে তিনি আবার যশোরে এসে এই মহাসড়কের সমস্যা সমাধানে মিটিং করবেন। বতর্মান ঠিকাদারও যথাসময়ে সংস্কার কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হলে তারও একই পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী উল্লেখ করেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এই সেতু নির্মাণ হলে যশোর-খুলনা মহাসড়কের গুরুত্ব আরও বেড়ে যাবে। এ কারণে সড়কটির পরিধি বিস্তৃত করে নতুন করে নির্মাণের বিষয়টি ভাবছে মন্ত্রণালয়।