শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > হে এরশাদ তুমি বলে দাও! কে যুদ্ধাপরাধী ?

হে এরশাদ তুমি বলে দাও! কে যুদ্ধাপরাধী ?

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি বলেছেন, জাতীয় পার্টির নেতা ও বিরোধীদলের চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী যুদ্ধাপরাধী এবং স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা ষড়যন্ত্রকারী। যারা যুদ্ধাপরাধী ও ষড়যন্ত্রকারী তারা বিএনপি-জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধীদের দালাল। তাদের স্থান জাতীয় পার্টিতে নেই। আবার এদিকে, জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলুকে উল্টো ‘জামায়াতের দালাল’ বলে আখ্যা দিয়েছেন বিরোধী দলের চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির নেতা তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
শুক্রবার বিকালে কাকরাইলস্থ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাপা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত সমাবেশে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, যারা ষড়যন্ত্র করছেন তারা জাতীয় পার্টির কেউ নন। তারা বিএনপি-জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধী বিরোধী নেতৃত্বকে তাদের জন্য হুমকি মনে করছে। এজন্য তারা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তাদের স্থান জাপায় নেই। জাপাকে ভাঙার ষড়যন্ত্র চলছে। যারা এই ষড়ন্ত্র করছেন তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। জাপাকে ভাঙার সাধ্য কারো নেই। তিনি আরও বলেন, জাপা ৬ মাস যাবত রাজপথে আছে। সরকারের দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। সংসদের সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছে। এতে ষড়যন্ত্রকারীরা অখুশী হচ্ছে। এজন্যই তারা জাপার বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলুর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আমার ওপর হামলা হয়। আমার বাড়ি পুড়িয়ে দেয় জামায়াত-শিবির। আমি কি করে দালাল হব? আজ (শুক্রবার) বাবলু বলছে, আমি না কি জামায়াতের দালাল। আসলে উনিই জামায়াতের দালাল। কারণ, আমরা সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকা নিয়েছি। প্রতিকূলতার মাঝেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।’ ‘আমি ৩৫ বছর ধরে এমপি (সংসদ সদস্য)। আমি যুদ্ধাপরাধী হলে আমার এলাকার লোক আমাকে ভোট দিত না। আমি ৭ বারের এমপি। আমি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য।’ জাতিই বাবলুর ওই ঘৃণ্য মিথ্যা ও অপপ্রচারের বিচার করবে।’
বাবলু আরও বলেন, এরশাদের ভয়ের কিছু নেই। এই পার্টিতে বিকল্প কোনো নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। এরশাদের বাইরে কাউকে নেতা হতে দেওয়া হবে না। এছাড়া বেশিরভাগ বক্তাই মশিউর রহমান রাঙা ও তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে এরশাদ নির্দেশ দিলেই ঢাকা থেকে বিদায় করে দেওয়ারও হুমকি দেন। জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেনÑ জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী, যুগ্ম মহাসচিব নুরুল ইসলাম নুরু, বাহাউদ্দিন বাবুল ও জহিরুল ইসলাম রুবেল প্রমুখ। সম্পাদনাÑ আশরাফুল।
জাপার সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াÑ রাঙা ও তাজুল ইসলামকে উইপোকা আখ্যায়িত করে বলেন, উইপোকার পাখা গজায় মরিবার তরে। এই ২ উইপোকা ঘর থেকে বের হলে তাদের প্রতিহত করা হবে। এলাকায় গেলেও তাদের প্রতিহত করা হবে।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘উপনেতা না হতে পেরে বাবলুর গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। আমরা উপনেতা হিসেবে কাজী ফিরোজ রশিদকে মনোনীত করেছি। আমরা ঐক্যবদ্ধ। বাবলু আমাদের ঐক্য বিনষ্ট করে জামায়াত-বিএনপিকে শক্তিশালী করার যতই ষড়যন্ত্র করুক কোনো লাভ হবে না। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করেছি, ঐক্যবদ্ধ আছি, থাকব। জামায়াত-বিএনপির চক্রান্তে আমরা পা দেব না।’
প্রসঙ্গত, বুধবার জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য থেকে বিরোধী দলের চিফ হুইপ তাজুল ইসলামকে অব্যহতি দেন দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। আর তাজুল ইসলাম এ জন্য দায়ী করছেন জাপা মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলুকে।