বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
সুন্দরবনের নদী ও খালে কুমির রয়েছে ১৫০ থেকে ২০৫টি। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় মিলেছে এই তথ্য। শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে কুমির সমীক্ষার ফলাফল। এছাড়া এই জলজ প্রাণীটির সাতটি হুমকি সনাক্ত করা হয়েছে সমীক্ষায়। হুমকি নিরসনে বিভিন্ন সুপারিশও করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
চারটি গ্রুপ ভাগ হয়ে ১০ জনের ছোট ছোট দল। নদী ও খালে ঘুরে গ্লোবাল পজেশনিং সিস্টেম-জিপিএস-এর সাহায্যে এভাবেই চলে ভাসমান এবং নদী তীরে থাকা কুমিরের সংখ্যা গণনা।
সুন্দরবনের এই কুমির সমীক্ষা ২০১৪ সালের এপ্রিলে শুরু হয়ে চলে গত বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এতে জানা যায়, সুন্দরবনে কুমির রয়েছে দেড়শো থেকে ২০৫টি। বন বিভাগের সহযোগিতায় এ কাজ করে বেসরকারি সংস্থা কারিনাম। বনবিভাগের দাবি, সুন্দরবনে অপরিবর্তিত রয়েছে কুমিরের সংখ্যা।
সমীক্ষায় কুমিরের হুমকি হিসেবে জেলেদের জালে আটকে পড়াসহ সাতটি বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে, কুমির কোথায় কম ও কোথায় বেশি, এর কারণ এবং প্রতি কিলোমিটারে ঘনত্বসহ নানা তথ্য।
বনবিভাগ বলছে, প্রতিবেদন পাওয়ার পর নেয়া হবে ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা। এছাড়া যেখানে কুমিরের ঘনত্ব বেশি, সেখানে টহল জোরদার এবং প্রজনন মৌসুমে মনিটরিং জোরদার করা হবে। পদক্ষেপ নেয়া হবে হুমকি নিরসনের।
সুন্দরবনে ছোট বড় নদী ও খাল রয়েছে সাড়ে চারশো। আর এই কুমির সমীক্ষা প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। সূত্র: চ্যালেন ২৪