রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > হাসিনা-মোদি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিস্তা প্রসঙ্গ গুরুত্ব পায়নি

হাসিনা-মোদি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিস্তা প্রসঙ্গ গুরুত্ব পায়নি

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
গোয়াতে ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই দেশই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যৌথভাবে লড়ার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছে। রবিবার রাতে ব্রিকস ও বিমসটেক আউটরিচের অবকাশে নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনার মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সে আলোচনায় জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশ ঠিক কি মডেল অনুসরণ করছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন বলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এছাড়া সার্কের সম্মেলন করা এই মুহূর্তে অর্থহীন সে বিষয়েও দুই দেশ একমত হয়েছে।

গোয়াতে ২৪ ঘন্টার সংক্ষিপ্ত সফরে বিমসটেক আউটরিচে যোগ দিতে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠক আয়োজক দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে।  দুজনের মধ্যে চলতি বছরে এটি ছিল প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। প্রত্যাশিতভাবেই তাদের মধ্যে প্রায় সব দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে।

ঢাকার গুলশানে জঙ্গি হামলার পর এই প্রথম দুইজনের মুখোমুখি বৈঠক হল। বৈঠকের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানান, জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশ কি ধরনের নীতি অনুসরণ করছে সে ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদি সাগ্রহে খোঁজ-খবর নিয়েছেন। শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

খুব সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ই প্রায় একইসঙ্গে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠেয় সার্ক শীর্ষ সম্মেলন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারপর থেকে ঐ জোটের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

সার্কের বদলে বিমসটেকেই ভারত বা বাংলাদেশ এখন থেকে বেশি গুরুত্ব দিবেন বলে অনেক পর্যবেক্ষক ধারণা করছেন। এই প্রসঙ্গটিও দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকে উঠেছিল বলে নিশ্চিত করেছে শহীদুল হক।

শহীদুল হক বলেন, সার্কের বিষয়ে কথা হয়েছে এখন যে পরি¯ি’তি বিরাজ করছে তাতে সার্ক সম্মেলন হওয়ার কোন অর্থ নেই।

অমীমাংসিত তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি নিয়ে কথা হলেও প্রসঙ্গটি সেভাবে উঠেনি বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ।

তবে আগামী ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে আসতে পারে সে ব্যাপারে দু দেশের মধ্যে কথাবার্তা চলছে বলে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। দুই প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে একমত হয়েছেন যে তাদের মধ্যে আরও বেশি করে দ্বিপাক্ষিক সফর আয়োজন হওয়া দরকার। প্রয়োজনে প্রটোকল ভেঙ্গেও।

সূত্র: বিবিসি বাংলা.