শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > হরতাল-অবরোধেও স্বাভাবিক রাজধানী ঢাকা

হরতাল-অবরোধেও স্বাভাবিক রাজধানী ঢাকা

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা লাগাতার অবরোধ ও হরতালেও স্বাভাবিক রয়েছে ঢাকা। আজ বুধবার সকাল থেকেই কর্মব্যস্ত মানুষের ভিড়ে রাজধানীর সড়কগুলোতে যানজটের সৃষ্টি হয়। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতেও অনেক যানবাহন আটকা পড়ে। এ ছাড়া বাসস্ট্যান্ডগুলোতে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য অনেক মানুষকে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। বেলা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে যান চলাচলও। রাজধানীর বিজয় সরণীতে আটকেপড়া ৬ নম্বর বাসের একযাত্রী জানান, হরতাল-অবরোধের মধ্যেও রাজধানীতে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মানুষের মধ্যে ভয়-আতঙ্ক থাকলেও তাদের কাজে যেতে হয়। তিনি বলেন, ভয় পেয়ে ঘরে বসে থাকলে তো আর পেট চলবে না! তাই মানুষ রাস্তায় নেমেছে।

পল্টন যাওয়ার জন্য কারওয়ান বাজারে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা এক যাত্রী বলেন, খালি খালি হরতাল-অবরোধ দেয়। তাদের কোনো কর্মী রাজপথে নেই। শুধু শুধু মানুষকে ভোগান্তির জন্য হরতাল-অবরোধের ডাক দেয়। তিনি বলেন, এ সব ধ্বংসাত্মক কর্মসূচির জন্য বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতেও ভয় করতো। এখন আর করে না। বাচ্চাদের ভবিষ্যত তো আর নষ্ট করতে পারি না। তিনি আরো বলেন, দেখেন তো, সব গাড়িঘোড়াই এখন রাস্তায়। আগের মতো রাস্তায় যানজট, মানুষের ভিড়।

বিজয়নগর মোড়ে দায়িত্বপালনরত ট্রাফিক পুলিশ জানান, আগের মতোই মোড়ে মোড়ে জ্যাম। আগের মতোই রাস্তাঘাটে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। সামাল দিতে আমাদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। এদিকে, রাজধানীর বাইরের শহরগুলোতেও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শহরগুলোতে সব ধরনের যান চলাচল স্বাভাবিক। খুলনা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর, বরিশাল সবখানেই যান চলাচল আগের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে। তবে রাতে দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম রয়েছে।

এ বছরের ৫ জানুয়ারি বিএনপির কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে লাগাতার অবরোধের ডাক দেয় দলটি। পরে এর সঙ্গে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে দফায় দফায় হরতাল পালন করে আসছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। এদিকে, অবরোধ-হরতাল চলাকালে যানবাহনে ছুড়ে মারা ককটেল, পেট্রাল-বোমায় দগ্ধ হয়ে শতাধিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। অনেকেই চিরদিনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। অনেকে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।