বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: যুদ্ধাপরাধের দায়ে দলের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে জামায়াতের ডাকা হরতালে সচিবালয় এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হেয়েছে। তবে হরতালের প্রথম দিনে সচিবালয়ে অফিস করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিনের মতোই স্বাভাবিক কাজকর্ম চলছে।সচিবালয়ে হরতালের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।
রায়ের পর ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিন দিন হরতালের মধ্যে প্রথম দফায় বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা হরতাল হবে।
এছাড়া দ্বিতীয় দফায় রবিবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতাল করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
এদিকে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় পরির্দশন এবং অফিস করছেন।
বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকেই সচিবালয়ের আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।চারপাশে দেখা যায় পুলিশের টহল।
সচিবালয়ের প্রবশেমুখে জিরো পয়েন্টের দিকে রাস্তা খোলা থাকলেও সেখানে উল্লখযোগ্য সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী রাখা হয়।
গত ২৯ এপ্রিল ১৮ দলীয় জোটের হরতালে কড়া পুলিশ পাহারার মধ্যেই সচিবালয়ে দুটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর থেকেই বিএনপি বা জামায়াতে ইসলামীর হরতাল বা অন্যান্য কর্মসূচিতে সচিবালয় একালায় কড়া নিরাপত্তা নেয়া হয়।
ভোর থেকেই সচিবালয়ের সামনের রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সচিবালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি দেখে দেখে এ সড়কের একাংশ দিয়ে যানবাহন ঢুকতে ও চলতে দেয়া হয়। হাঁটাচলার ক্ষেত্রেও ছিল কড়াকড়ি।
আব্দুল গনি রোডের সচিবালয় সংলগ্ন রাস্তায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
সচিবালয় ঘুরে দেখা যায়, অন্যদিনের মতো বৃহস্পতিবার ও স্বাভাবিক গতিতে প্রশাসনিক কার্যক্রম চলেছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতি অবশ্য অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম ছিল।
কর্মকর্তা ও কর্মচারী পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, কর্মচারীদের বহনকারী সবগুলো বাস নির্ধারিত সময়ে সচিবালয়ের ফটকে পৌঁছায়। তবে প্রতিটি বাসে নিরাপত্তার জন্য চারজন করে পুলিশ ছিল। নির্দিষ্ট সময়ের বাইরেও অনেককে অফিসে আসতে দেখা গেছে।
উপস্থিতি কম এবং সচিবালয় ফাঁকা দেখা গেলেও সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উপস্থিতি ছিল প্রায় স্বাভাবিক।
অর্থ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঘুরেও স্বাভাবিক উপস্থিতি দেখা যায়। তবে সকালে অর্থমন্ত্রী সচিবালয়ে একটি সভায় মিলিত হয়েছেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “হরতালের দিন আমাদের অফিসে আসার তাগিদ আরো বেশি থাকে। কারণ অনুপস্থিত থাকলে কারণ দর্শানোর নোটিশসহ (শোকজ) নানা হয়রানির সম্ভাবনা থাকে।” বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম ডেস্ক