স্টাফ রিপোর্টার ॥ পরিবহন খাতে সরকার যে নিরাপত্তা দিচ্ছে তা পর্যাপ্ত নয় উল্লেখ করে হরতাল-অবরোধ চলাকালে গাড়ি চালানোর জন্য রাস্তায় নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবরোধের নামে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ,ভাঙচুর ও শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এ দাবি জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে সড়ক-পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
পরিবহন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক খন্দকার এনায়েতুল্লাহ বলেন, ‘আমরা হরতাল ও অবরোধের মধ্যে গণপরিবহন চালাতে সরকারের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার যে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে তা পর্যাপ্ত নয়। তাই আমরা সরকারের কাছে গণপরিবহন চলাচলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।’
মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের এই নেতা অভিযোগ করেন, ‘বিরোধী জোট যে আবরোধ ডেকেছে তাতে আমরা গাড়ি চালানো বন্ধ রেখেছিলাম। অথচ তারা আমাদের পার্কিং করা গাড়িতেও আগুন দিয়েছে। পরে বাধ্য হয়ে গাড়ি চালানো শুরু করতে হয়েছে আমাদের।’
তিনি আরো বলেন, ‘অবরোধ আহ্বানকারীদের সবার কল-কারখানা খোলা থাকে, গাড়ি চলে। তাদের গাড়ি চললে ও কারখানা খুললে কোনো সমস্যা হয় না। এতে প্রমাণিত হয় বিরোধীদের টার্গেট সাধারণ মানুষের গাড়ি এবং পণ্য ও যাত্রীবাহী গাড়ি।’
গত ৪ তারিখ থেকে এ পর্যন্ত শুধু পরিবহন খাতে নাশকতায় ২০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘একদিন গাড়ি বন্ধ থাকলে ৩শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়।’
তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত ৭০টি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ৩৫০টি ভাঙচুর করা হয়েছে। ১৪ জন শ্রমিক মারা গেছেন।’
সমাবেশে সারাদেশ থেকে সড়ক-পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ২০০ থেকে ২৫০ জন নেতাকর্মী অংশ নেন। এতে প্রেসক্লাব-হাইকোর্ট মোড় ও সচিবালয় পর্যন্ত রাস্তা আটকে দেয়া হয়। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও সহায়তা করতে দেখা যায়।
সড়ক পরিবহন নেতারা সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করেন, যা প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় হয়ে জিপিও মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।