রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > স্থিতিশীল, ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী বাংলাদেশ দেখতে চায় চীন

স্থিতিশীল, ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী বাংলাদেশ দেখতে চায় চীন

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশকে স্থিতিশীল, ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় চীন। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সেনাপ্রধান লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান রচিত ‘সমকালীন ভাবনা’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে’ ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জুন একথা বলেন। বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক একাডেমি ফাউন্ডেশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, দেশে স্থিতিশীলতা থাকলে তার প্রভাব দেশে-বিদেশে পড়ে। এদেশের জনগণের মতো চীনও প্রত্যাশা করে ইতিবাচক, স্থিতিশীল ও ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। যাতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

লি জুন বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক। দুই দেশের সম্পর্ক শুধুমাত্র গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের ওপরই ভিত্তি করেই নয়, বরং দুই জাতি গড়ার ক্ষেত্রে অভিন্ন চ্যালেঞ্জ, দ্বি-পাক্ষিক ও স্বপ্নের ওপর ভিত্তি করে রচিত। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, আমরা পূর্ব ও পশ্চিমের দুই পরাশক্তির মাঝামাঝিতে অবস্থান করছি। কৌশলগত দিক থেকে আমরা খুবই ভয়ঙ্কর স্থানে বসবাস করছি। তাই বাংলাদেশে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন, তারা যদি পরনির্ভরশীল নীতি গ্রহণ করে- তাহলে আমরা আবারও ৪৪ বছর পেছনে চলে যাবো। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে যেখানে ছিলাম- সেখানেই চলে যাবো।

তিনি বলেন, আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, ভারত পাকিস্তান যে প্রক্রিয়ায় স্বাধীন হয়েছে, আমরা সেই প্রক্রিয়াই স্বাধীন হয়নি। রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীন হয়েছি। তাই আমরা কারো পরনির্ভরশীল হয়ে পড়লে তা হবে খুবই দুঃখজনক।

প্রকাশনা উৎসবে বইটির লেখক লে. জে. (অব.) মাহবুব বলেন, আমার লেখা বইয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে যারা আলোচনা করেছেন, তাদের সব পরামর্শ আমি আমলে নিলাম। ভবিষ্যতে তাদের এই বিশ্লেষণগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো। আমি খুবই আনন্দিত ও উদ্বেলিত। এই বইটি কোন রোমান্টিক গল্প উপন্যাস নয়, আমার বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার সঙ্গে জড়িত সমসাময়িক কিছু চিন্তাভাবনা মাত্র। পাঠক বইটি পড়লে কিভাবে বাংলাদেশের উন্নতি সম্ভব সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।

বইয়ে তিনি বাংলাদেশকে পূর্ব ও পশ্চিম কোন দিকের প্রতি নির্ভরশীল না হওয়ার নানা যুক্তি তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লেখা মুখবন্ধে বইটিতে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কসহ বিভিন্ন সময়ের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে স্মৃতিচারণ তুলে ধরেছেন লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন চীনা রাষ্ট্রদূত লি জুন। বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক একাডেমী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান তপনের সভাপতিত্বে ও কলামিস্ট এহসানুল কবীরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন- বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এজি মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, কলামিস্ট সাদেক খান, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, সুবর্ণ প্রকাশনীর প্রধান মাহফুজুল হক ও ফাউন্ডেশনের মহাসচিব হুমায়ুন কবীর ব্যাপারী প্রমুখ। বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম