বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের বাড়ি-ঘরে আগুন লাগানোর জন্য স্থানীয় কিছু ব্যক্তি এবং ঘটনার সময়ে দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দায়ী’।
এমন তথ্য উঠে এসেছে এ বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. শহিদুল্লাহর তদন্ত প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনটি রোববার (২৯ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে জমা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
তিনি বলেন, ‘৬৫ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদনটির সঙ্গে সাপোর্টিং কাগজপত্র রয়েছে ১ হাজার ১ পৃষ্ঠার। রোববার এটি রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে জমা দেওয়ার পর সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারিক হাকিম মো. শহিদুল্লাহ আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন। পরে প্রতিবেদনের একটি এক পৃষ্ঠার রিসিভিং অনুলিপি আমাকে দেওয়া হয়’।
তবে সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানিয়েছে, ‘প্রতিবেদনের মতামত অংশে বলা হয়েছে, সাঁওতালদের বাড়ি-ঘরে আগুন লাগানোর জন্য স্থানীয় কিছু ব্যক্তি এবং ঘটনার সময়ে দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দায়ী’।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আল জাজিরা টেলিভিশনে প্রদর্শিত ভিডিওক্লিপ পর্যবেক্ষণে দেখা যায় যে, কিছু পুলিশ সদস্য এবং দু’জন সিভিল পোশাকধারী ব্যক্তি সাওতালদের বাড়ি-ঘরে আগুন লাগানোয় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। আরো কিছু পুলিশ সদস্য কিছুটা দূরে দাড়িয়ে ছিলেন, যারা আগুন লাগানোয় সক্রিয় অংশগ্রহন করেননি। তবে তারা আগুন নেভানোর চেষ্টাও করেননি’।
গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর সাঁওতালপল্লীতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় পুলিশের কোনো সদস্য জড়িত কি-না বা কারা জড়িত, সে বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
১৫ দিনের মধ্যে গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিমকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে প্রতিবেদন দেওয়ার সময় বাড়ানো হয়।
রিট আবেদনকারীদের এক সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
সাঁওতালদের জান-মাল রক্ষা, নিরাপত্তা, ক্ষতিপূরণ ও স্বাধীনভাবে চলাফেরার সুযোগ দিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে গত বছরের ১৬ নভেম্বর আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) ও ব্রতী সমাজ কল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে একটি রিট দায়ের করা হয়। অন্যদিকে হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় কমিশন চেয়ে গত বছরের ২১ নভেম্বর দ্বিতীয় রিটটি করেন আহত দ্বিজেন টুডোর স্ত্রী অলিভিয়া হেমভ্রম ও গণেশ মুরমোর স্ত্রী রুমিলা কিসকুর পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।