শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > স্কয়ার হাসপাতালে ডাক্তারই ‘ভুল চিকিৎসার’ শিকার!

স্কয়ার হাসপাতালে ডাক্তারই ‘ভুল চিকিৎসার’ শিকার!

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. এ এস এম জাকারিয়া স্বপনকে স্কয়ার হাসপাতালে ‘ভুল চিকিৎসা’ দেওয়ার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন ও মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আগামী দুই মাসের মধ্যে এই বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

আদালত এই আদেশের পাশাপাশি রুলও জারি করেন।

স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহপরিচালক, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ফার্মেসি ইনচার্জ, স্কয়ার হাসপাতাল, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন ‘ভুল চিকিৎসার শিকার’ চিকিত্সক জাকারিয়া স্বপন এবং বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড ট্রাস্ট সার্ভিসেস (ব্লাস্ট)।

রিট আবেদনে ‘ভেজাল ওষুধে ক্ষতিগ্রস্ত রোগীরা অসহায়’ শিরোনামে ৬ ফেব্রুয়ারি দৈনিক কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. জাকারিয়া স্বপন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে কেমোথেরাপির আওতায় আছেন। থেরাপির এক ধাপে তিনি দেখেন, তার কাঙ্ক্ষিত শারীরিক উন্নতি হয়নি। তিনি নিজেই বিষয়টি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখতে পান, তার শরীরে যে ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে, সেটি আসল ছিল না। তাই তার ক্যান্সারের মাত্রা বেড়ে গেছে। ঢাকার একটি বড় হাসপাতালে কেমোথেরাপি নিতে গিয়ে বিদেশি ব্র্যান্ডের ওই ভেজাল বা নকল ওষুধ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তিনি লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন সরকারের ওষুধ অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে।”

‘অধ্যাপক ডা. জাকারিয়া স্বপন বলেন, যে নামকরা হাসপাতালে আমার কেমোথেরাপি চলছিল, সেখানে গত ১০ ও ১৭ ডিসেম্বর যে ওষুধের দু’টি ডোজ আমাকে দেওয়া হয়, তা আসল ছিল না। ফ্রান্সের একটি কোম্পানির ওষুধ নকল করে দেওয়া হয়েছিল। ওই ওষুধে যে সাইটোটক্সিন উপাদান থাকার কথা ছিল তা না থেকে অন্য কিছু দেওয়া ছিল। অথচ এ ওষুধের প্রতিটি ডোজের দাম রাখা হয় প্রায় ১৮ হাজার টাকা করে।’