শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ‘ সৌদিতে ৩ নভেম্বর বৈধ হওয়ার শেষ দিন

‘ সৌদিতে ৩ নভেম্বর বৈধ হওয়ার শেষ দিন

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ কোনো ধরনের শাস্তি বা জরিমানা ছাড়াই অবৈধ প্রবাসীদের বৈধতা দিতে সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজের দেয়া বিশেষ ক্ষমার মেয়াদ শেষ হ”েছ ৩ নভেম্বর। এই সময়ের মধ্যে বিশেষ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক করে বৈধ হতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম। ভোরের কাগজ

সৌদি বাদশাহর সাধারণ ক্ষমা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত জানান, ৩ নভেম্বরের পর কোনো অবস্থাতেই এই সময় বর্ধিত করা হবে না। প্রবাসীদের বৈধকরণে দূতাবাস এবং কনস্যুলেট প্রতিনিয়ত কাজ করছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ইমিগ্রেশন অফিসসহ সৌদি আরবে বাংলাদেশী আছে এমন শহরগুলোতে নিয়মিত আমাদের (দূতাবাস) অফিসাররা যাচ্ছেন। যারা অবহেলা করে বৈধতার সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন না তাদের উদ্দেশে রাষ্ট্রদূত বলেন, এটা বাংলাদেশীদের জন্যসুবর্ণ সুযোগ। এই সুযোগে বৈধ না হলে ৩ নভেম্বরের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হলে তখন দূতাবাসেরও কিছুই করার থাকবে না। তাই বাকি সময়ের মধ্যে বৈধ হতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলাম।

হজ সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, অবৈধভাবে হজ পালনকারীদের ধরতে সৌদি প্রশাসন খুবই সিরিয়াস। অনুমোদনহীন হাজি ধরা পড়লে বিদেশীদের তাৎক্ষণিকভাবে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাবে এবং তাকে দশ বছরের জন্য সৌদি আরবে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে। তিনি বলেন, অন্য যে কোনো সময়ের চাইতে এ বছর মক্কা মদিনায় অবৈধ হাজি শনাক্ত করতে সৌদি প্রশাসন সক্রিয় রয়েছে। তাই অনুমোদন বিহীন হজে না যেতে বাংলাদেশীদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

সৌদি বাদশাহর বিশেষ ক্ষমা ঘোষণার পর এ পর্যন্ত সর্বমোট ২ লাখ ২২ হাজার ২শ’ ৯৯ জন বিদেশী একেবারে সৌদি আরব ছেড়েছেন। এরা সবাই ভিজিট ভিসা বা ননওয়ার্ক ভিসায় এতোদিন সৌদি আরবে অবস্থান করছিলেন। সৌদি পাসপোর্ট বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বৈধকরণের এই সময়ের মধ্যে ৮ লাখ ৫৯ হাজার ২৭ জন এক্সিট রি-এন্ট্রি (ছুটিতে) ভিসা নিয়ে সৌদি আরবের বাইরে গিয়েছেন।

পাসপোর্ট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র লে. কর্নেল আহমদ আল লুহাইদান বলেন, ৩ নভেম্বর বৈধকরণের সীমা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা এবং জনবহুল এলাকায় চেকিং শুরু হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া কোনো বিদেশী বৈধ হবে না। আর যথাযথ পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট বা আঙুলের ছাপ দেখে প্রত্যেককে শনাক্ত করা হবে। এ জাতীয় বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কাউকে দেশ ত্যাগ করতে দেয়া হবে না।

বৈধকরণের সময়সীমা বেঁধে দেয়ার সময়ে যারা হুরুব (পলাতক) হয়েছেন, তারা এ সুযোগ পাবেন না এবং তারা অন্য কোথাও ট্রান্সফারেরও সুযোগ পাবেন না।