শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > সোহাগ গাজীকে থাপ্পড়, এএসআই বরখাস্ত

সোহাগ গাজীকে থাপ্পড়, এএসআই বরখাস্ত

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সোহাগ গাজীর সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে রূপনগর থানার এক এএসআই তাকে থাপ্পড় মেরেছেন। এ ঘটনায় অভিযোগ করলে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটায় রূপনগর আবাসিক এলাকার ৭ নম্বর রোডে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রূপরগর থানার সিভিল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঈন ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ওহিদ একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে টহল দিচ্ছিলেন। রূপনগর আবাসিক এলাকার ৭ নম্বর সড়কের কাছে জাতীয় দলের ক্রিকেটার সোহাগ গাজীর বাসার সামনে তার গাড়িটি পার্ক করা ছিলো।

এ সময় রূপনগর থানা পুলিশের সিভিল টিমের গাড়িটি গোহাগ গাজীর গাড়ি সরানোর জন্য বার বার হর্ন দিতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা নেমে পিস্তল বের করে সোহাগ গাজীর গাড়ি চালককে জোর করে পুলিশের মাইক্রোবাসে তুলতে টানা-হেঁচড়া করেন। এ সময় গোহাগ গাজী বাসা থেকে বের হয়ে এসে এর প্রতিবাদ জানালে, পুলিশের এএসআই ওহিদ অস্ত্র বের করে তাকেও জোর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন। টানাহেঁচড়ার এক পর্যায়ে এএসআই ওহিদ সোহাগ গাজীকে থাপ্পড় মারেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত আশপাশের লোকজন সোহাগ গাজীর পরিচয় পুলিশকে জানালে এরপর এএসআই পাশেই ‘জ্ঞানভাণ্ডার’ নামে একটি বইয়ের দোকানে সোহাগ গাজীকে নিয়ে গিয়ে হাত ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ঘটনাটি সোহাগ গাজী রূপনগর ও মিরপুর বিভাগের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের জানালে, কর্মকর্তারা ওই এএসআইকে সিভিল টিম থেকে নামিয়ে দেন ও সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেন।

রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম শিকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গাড়ি পার্কিংয়ের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়, বিষয়টির মীমাংসা হয়ে গেছে। ওই এএসআই’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।এ ব্যাপারে সোহাগ গাজীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিকেলের দিকে আমার বাসার সামনে গাড়ি পার্ক করাকে কেন্দ্র করে সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা প্রথমে আমার ড্রাইভারকে জোর করে গাড়িতে টেনেহিঁচড়ে তোলার চেষ্টা করে। এরপর আমি বাসা থেকে বেরিয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে তারাও পিস্তল বের করে আমাকে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করলে আমি ক্রিকেটার পরিচয় দেই। এরপর পুলিশ সদস্যরা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে আমার গায়ে হাত তুলে আমাকে লাঞ্ছিত করেন।সোহাগ গাজী বলেন, পুলিশ সদস্যদের আমি পরিচয় দেওয়ার পরেও তারা আমার সাথে পিস্তল উঁচিযে দুর্ব্যবহার করেন। তখন আমার মনে হচ্ছিলো, আমি বড় কোনো সন্ত্রাসী, তারা আমাকে গ্রেফতার করার জন্য এসেছেন।

পুলিশের এহেন দুর্ব্যবহারে চরম অপমানিত হয়েছেন বলেও সোহাগ গাজী জানান। রূপনগর আবাসিক এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যবসায়ী জানান, সিভিলটিমের এসআই মঈন ও এএসআই ওহিদ ওই এলাকার নিরীহ মানুষকে রাজনৈতিক মামলা

দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন মানুষকে প্রায়ই হয়রানি করতেন। পল্লবী জোনের সহকারী কমিশনার মোস্তফা কামাল ঘটনা সম্পর্কে জানান, সোহাগ গাজী বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই এএসআই’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করি।