বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ এবার একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের চূড়ান্ত রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার কামারুজ্জামানের আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায়ের জন্য দিন ঠিক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার।
রোববার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন রেজিস্টার একেএম শামসুল ইসলাম।
একেএম শামসুল ইসলাম বলেন, ‘আগামীকাল সোমবার বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করা হবে। তাই আগামীকালের আপিল বিভাগের দৈনন্দিন কার্যতালিকার এক নম্বরে কামারুজ্জামানের মামলাটি রায়ের জন্য অন্তর্ভুক্ত রাখা রয়েছে।’
এর আগে আপিল বিভাগে কাদের মোল্লা ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চূড়ান্ত রায় দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে যাবজ্জীবন কারদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত কাদের মোল্লাকে আপিল বিভাগে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। পরে গত বছরের ডিসেম্বরে তার দণ্ড কার্যকর হয়। আর সাঈদীর আপিলের রায়ে তার মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন আপিল বিভাগ।
এদিকে কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হলে মালাটি রায়ের জন্য অপেক্ষায় রাখা হয়।
তবে আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়েও শেরপুরের বদর নেতা কামারুজ্জামানের সর্বোচ্চ শাস্তি (মৃত্যুদণ্ড) বহাল থাকবে বলে শুনানি শেষে আশা প্রকাশ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে কামারুজ্জামানকে আইনগতভাবে শাস্তি দেয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে দাবি করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী এসএম শাহজাহান ও তাজুল ইসলাম।
মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা-নির্যাতনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে গত বছর ৯ মে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। সুপ্রিম কোর্টে আপিল দাখিলের পর গত ৫ জুন শুনানি শুরু হয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর তা শেষ হয়।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত বছর ৯ মে কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে বলা হয়, ‘হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্মান্তকরণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৭টির মধ্যে ৫টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। যার মধ্যে অভিযোগের ৩ ও ৪ নম্বরে দুটি হত্যাকাণ্ড রয়েছে। শেরপুরের নালিতাবাড়ির সোহাগপুর গ্রামে নির্বিচারে হত্যা ও নারী ধর্ষণ এবং গোলাম মোস্তফা তালুকদার হত্যার ঘটনায় আসামিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।’
প্রসঙ্গত, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের একটি মামলায় ২০১০ সালের ১৩ জুলাই কামারুজ্জামানকে হাইকোর্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই বছর ২ আগস্ট তাকে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।