লাইফস্টাইল ডেস্ক ॥ বসার ঘরে কাউচ নির্বাচনের সময় ঘরের আকৃতি এবং থিম মাথায় রাখুন। কাউচ সাধারণত আকারে সোফার চেয়ে বড়। ছোট ঘরে ভারী কাউচ না রাখাই ভালো। ঘর বড় হলে রুচি অনুযায়ী কাঠের নকশা করা কাঠ, কাপড় ও ফোমের বা লেদারের ভারী কাউচ ব্যবহার করতে পারেন। ছোট ঘরে ছিমছাম নকশার প্লেইন কাঠ, বেত, বাঁশ বা রট আয়রনের কাউচ রাখুন।
* আধুনিক সাজ চাইলে কাঠ, লেদার বা রট আয়রন আর ট্রাডিশনাল সাজে বেত বা বাঁশের কাউচ ভালো মানায়। খেয়াল রাখুন ঘরের অন্যান্য ফার্নিচারের মোটিফ যেন কোচের সঙ্গে মানানসই হয়। অন্য ফার্নিচারের নকশা যদি ভিক্টোরিয়ান মোটিফের হয়, তবে কাউচও হবে কাঠ বা রট আয়রনের ভিক্টোরিয়ান নকশা করা। মডার্ন সাজে ভিক্টোরিয়ান নকশা মানায় না।
* কাউচের কভার ও কুশন কন্ট্রাস্ট হবে। অর্থাৎ কুশন খুব রঙিন হলে কভার একরঙা হবে আবার কভার রঙিন হলে কুশন হবে একরঙা। মডার্ন সাজে কাউচের কুশন ও কভার হবে আধুনিক আর বাঁশ-বেতের বা কাঠের ছিমছাম কাউচ হলে কভার ও কুশনে ব্লক, বাটিক বা নকশিকাঁথা দিন।
* বড় শোবার ঘরেও রাখতে পারেন কাউচ। সে ক্ষেত্রে সোজা তিন বা চার আসন অথবা চার বা পাঁচ আসনের এল শেপের কাউচ রাখুন। কাঠের খাটের সঙ্গে কাঠের কাউচ এবং বেত বা বাঁশের খাট হলে একই উপাদানের কাউচ রাখুন। শোবার ঘরে লেদারের কাউচ একেবারেই বেমানান। এ ঘরে কাউচের পাশে একটা লম্বাটে ইনডোর প্লান্ট রাখুন।
* বসার ঘরের বড় দেয়াল ঘেষে সোজা বা ইউ শেপের কাউচ রাখুন। কর্নারে রাখুন এল শেপের কাউচ। কাউচে বসে যেন আরাম করে টিভি দেখা যায় এমন জায়গার টিভি রাখুন। কাউচের সামনে বা পাশের দেয়ালে জানালা থাকলে ভালো।
* কাউচকে বিশেষভাবে হাইলাইট করতে পেছনের দেয়ালটা ভিন্নভাবে সাজান। দেয়ালে লালের যেকোনো শেড বা কোচের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটু গাঢ় রং ব্যবহার করুন। পেইন্টিং বা টেরাকোটা ঝুলিয়ে দিন দেয়ালে।
* কাউচ যে শেপেরই হোক তার পাশে বড় ফ্লাওয়ার ভাসে লম্বাটে ড্রাই ফ্লাওয়ার রাখলে বেশ মানায়। অন্য পাশে একটা ইনডোর প্লান্ট রাখুন।
* কাউচের কর্নার টেবিলে একটা টেবিলল্যাম্প রাখুন। সিলিং থেকে কাউচ বরাবর দু-তিনটি আলাদা রঙের ডেকোরেটিভ হ্যাংগিং লাইট উঁচু-নিচু করে ঝুলিয়ে দিন। স্নিগ্ধ পরিবেশ তৈরি হবে।