শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > সোনার বাংলা গড়ায় শিশুদের সুস্থতার কোন বিকল্প নেই: রিমি এমপি

সোনার বাংলা গড়ায় শিশুদের সুস্থতার কোন বিকল্প নেই: রিমি এমপি

শেয়ার করুন

আকরাম হোসেন রিপন
চীফ রিপোর্টার ॥
গাজীপুর: আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্ন ছিল দুর্নীতি মুক্ত সমৃদ্ধশালী সুজলা সফলা শস্য শ্যামলা ফুলে ফলে সুশোভিত সোনার বাংলা গড়া। তাদের স্বপ্ন পূরণের চারাগাছ হলো আজ যে শিশু তারাই। তাই তাদের সুস্থতা ও স্বাভাবিক মানসিক বিকাশের কোন বিকল্প নেই। তাদেরকে সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে পারলে বঙ্গবন্ধু’র চিরজীবনের লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়ন হবে।

আজ শনিবার সকালে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিটামিন এ+ ক্যাম্পেইন কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমি এমপি এসব কথা বলেন।

“ভিটামিন এ খাওয়ান শিশু মৃত্যুর ঝুঁিক কমান” এই স্লোগান নিয়ে শুরু হওয়া ক্যাম্পেইনে ২য় রাউন্ডে শনিবার কাপাসিয়ায় ৫১ হাজার ৮২২ জন শিশুকে ভিটামিন এ খাওয়ানো হয়েছে। ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ৫০৮৫ জন শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪৬৭৩৭ জন শিশুকে লাল রঙের একটি ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস ছালাম সরকার জানান, বিশ ইজতেমার কারণে আমাদের এই ক্যাম্পেইন গত ১১ই জানুয়ারির পরির্বতে পিছিয়ে ২৫ শে জানুয়ারি করা হয়েছে। ভিটামিন এ শুধু মৃত্যু ঝুঁকিই কমায়না শিশুদের অন্ধত্ব থেকেও রক্ষা করে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক এমপি মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ আমানত হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা: ইসমত আরা, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান প্রধান, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রওশন আরা সরকার, ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ৯৯ ওয়ার্ডে ২৬৫ স্থানের টিকাদান কেন্দ্রে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সি এইচ সিপি, পরিবার পরিকল্পনা সহকারি, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, সিনিয়র স্টাফ নার্স, স্বেচ্ছাসেবক, এনজিও কর্মী, স্বাস্থ্য সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক, মাঠ কর্মীরা ক্যাম্পেইন এ দিনব্যাপি কর্মরত ছিলেন। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।