আকরাম হোসেন রিপন
চীফ রিপোর্টার ॥
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের সহ-ধর্মিণী বর্ষীয়ান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও আওয়ামীলীগের দুর্দিনের কান্ডারী, মহিয়সী নারী নেত্রী, সাবেক প্রেসিডিয়ামের এক নম্বর সদস্য সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনের ষষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী আজ। ২০১৩ সালের ২০শে ডিসেম্বর তিনি ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তাঁর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর মেজো মেয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি এমপি মায়ের পরকালের শান্তি কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
জানা যায়, তিনি ঢাকার বনানির বাসায় বাথরুমে পরে গিয়ে কোমড়ে গুরুতর আঘাত পান। এতে তাঁর কোমড়ের হার ভেঙ্গে গেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি এমপি দিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য সঙ্গে করে নিয়ে যান। পরে তার অবস্থা আরো অবনতির দিকে গেলে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে এয়ার এম্বুলেন্সযোগে দেশে এনে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসারত অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। জোহরা তাজ ১৯৩২ সালে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৯ সালে বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের সাথে তাঁর বিবাহ হয়। তাঁর তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তিনি ১৯৬০ সালের আন্দোলনে বাংলাদেশ কারাবন্দি সাহায্য কমিটির যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতাকে হত্যার পর পট পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগের চরম ক্রান্তিকালে দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পূর্ব পর্যন্ত দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯১ সালে কাপাসিয়া ও ১৯৯৬ সালে মেহেরপুর থেকে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন। তিনি স্বাধীনতার পর থেকে মহিলা পরিষদের কমিটিতে কবি সুফিয়া কামালের সাথে সহসভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
তাঁর একমাত্র ছেলে তানজিম আহমদ সোহেল তাজ ২০০১ ও ২০০৮ সালে কাপাসিয়া আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরে সোহেল তাজের ছেড়ে দেয়া আসনে ২০১২ সালে উপনির্বাচনে জোহরা তাজের মেজো মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর বড় মেয়ে শারমিন রিপি ও ছোট মেয়ে মাহজাবিন মিমি।