শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > সেমিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেই পেল বাংলাদেশ

সেমিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেই পেল বাংলাদেশ

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥

ঢাকা: যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেই পেল বাংলাদেশ। সোমবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তানকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ক্যারিবীয় যুবারা। শুরুতে ব্যাট করে পাকিস্তান ছয় উইকেটে ২২৭ রান করে। জবাবে ১০ ওভার বাকি থাকতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এখন আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে স্বাগতিক বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে ক্যারিবীয়রা।

এই ম্যাচের আগেই প্রতিপক্ষ হিসেবে পাকিস্তানের তুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকেই পছন্দ ছিল বাংলাদেশের। রোববার বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক জাকির হাসান প্রকাশ্যেই নিজেদের এমন অভিব্যক্তির কথা জানান। কারণটা খুব সহজ। যুব বিশ্বকাপে পাকিস্তান মোট পাঁচবার ফাইনাল খেলেছে। এর মধ্যে তারা দুবার চ্যাম্পিয়ন ও তিনবার রানার্সআপ হয়েছে। তাই প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশের বিবেচনায় পাকিস্তানের চেয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজই সহজ দল। যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজও একবার যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছে। তবে সেটি এক যুগ আগের কথা। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক প্রেরণা হল টুর্নামেন্ট শুরুর আগে প্রস্তুতিমূলক তিন ম্যাচের সিরিজে ক্যারিবীয় যুবাদের হোয়াইটওয়াশ করেছে মেহেদি হাসান মিরাজ বাহিনী।

কোয়ার্টারে পাকিস্তানের দেয়া ২২৮ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই সাবলীলভাবে ব্যাটিং করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গিডরন পপ ও টেভিন ইমলাচের ওপেনিং জুটি ভেঙে যায় ৪৫ রানেই। তাতে অবশ্য বিচলিত হননি দলের ব্যাটসম্যানরা। দ্বিতীয় উইকেটে হেটমায়ার ইমলাচ জুটি কাজ অনেকটা সহজ করে যান। ৭৭ রানের জুটি গড়েন তারা। দুজনই হাফসেঞ্চুরি করেন। তবে হেটমায়ের ৪২ বল থেকে আট চার ও এক ছক্কায় দ্রুততার সঙ্গে করেন ৫২ রান। আর ইমলাচ ৭৬ বলে পাঁচটি চারের মারে করেন ৫৪ রান।

পরে কিসি কার্টি একটু দ্রুতই রান আউট হয়ে ফিরে যান। অবশ্য সামার স্প্রিঙ্গার, জিদ গুলি ও কিমো পল শেষ দিকে দৃঢ়তার সঙ্গেই ব্যাটিং করে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। স্প্রিঙ্গার ৩৭ রান করে আউট হলেও গুলি ২৬ ও পল ২৪ রান করে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন।

এর আগে মুদ্রানিক্ষেপণে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং তোপে পড়ে পাকিস্তান। মাত্র ৫৭ রানেই পাঁচ উইকেট হারায় তারা। ৪ রানের মাথায় জিসান মালিক আউট হয়ে যান হোল্ডারের বলে। দলীয় ১৪ রানের মাথায় আবারো আঘাত হানেন হোল্ডার। এ পর্যায়ে শাদাব খানকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান তিনি। দলীয় ২১ রানে মোহাম্মদ ওমর, ৪০ রানে সাঈফ বদর ও ৫৭ রানে হাসান মহসিন ফিরে গেলে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান।

মাত্র ৫৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপর্যস্ত পাকিস্তান যুব দলের হাল ধরেন উমায়ের মাসুদ ও সালমান ফাইয়াজ। পঞ্চম উইকেটে এ দুজনের জুটিতে ১৬৪ রান করেন। এর মধ্যে সেঞ্চুরি করেছেন মাসুদ। ১১৪ বল থেকে ১৫টি চার ও দুটি ছক্কার মারে ১১৩ রান করেন হারা ম্যাচেও সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন তিনি। মাসুদকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন ফাইয়াজ। ৭৯ বল থেকে তিনি করেন অপরাজিত ৫৮ রান। এ দুজনের দৃঢ়তায় ছয় উইকেটে ২২৭ রান করেছে পাকিস্তানের যুবারা। ক্যারিবীয় বোলারদের মধ্যে চিমা হোল্ডার দুটি উইকেট নেন।