স্পোর্টস ডেস্ক ॥
ঢাকা: দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দলের হয়ে টেস্টে হাশিম আমলার অভিষেক ২০০৪ সালে। ক্রিকেটের দীর্ঘ এই ফরম্যাটে নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরেন। তাই আমলার ক্যারিয়ারটা টেস্টেই ঘোরপাক খাচ্ছিল! এরপর ২০০৮ সালে ওয়ানডে খেলার সুযোগ পান। কিন্তু অতটা কার্যকরী ইনিংস খেলতে পারছিলেন না। হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেতে তাকে অপেক্ষা করতে হয় ৮ ম্যাচ।
দশম একদিনের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৪০ রানের ইনিংস খেলে নজরে আসেন। ওই ফিরে আসাটা তাকে আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান করেছে। যে বিশ্বাস তাকে এখানো উপরের দিকেই টানছে। পরের বছর টি২০তে তাকে নিয়ে পরীক্ষায় নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। এখানেও তার শুরুটা ছিল বাজেভাবে। ব্যাটে মোটে রানই ছিল না।
আমলা অপেক্ষায় ছিলেন টি২০তে নিজেকে প্রমাণ করার। নবম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩০ বলে ৭টি চারের মারে ৪৭ রান করার পর সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটেও আলোয় আসেন প্রোটিয়া এই ব্যাটসম্যান। ব্যর্থতার ‘মামলায় জামিন’ পেয়ে আমলা যেন উড়ছেন। তাকে আর রুখে কে? ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।
‘টেস্ট স্পেশালিস্ট’ হিসেবে পরিচিত সেই আমলাই টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছুঁলেন হাজার রানের মাইলফলক। ভারতে চলমান বিশ্বকাপে সোমবার দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫২ বলে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় অপরাজিত ৫৬ রানের ইনিংস খেলার পথে এই কীর্তি গড়েন। ৩৭ ম্যাচ শেষে তার নামের পাশে যোগ হয়েছে ১০০৮ রান। গড় ৩১.৫০! এর মধ্যে রয়েছে ৫টি হাফ সেঞ্চুরিও। ছক্কা হাঁকিয়েছেন ২১টি। চারের মার রয়েছে ১১৩টি।
টি২০তে ব্যক্তিগত ৯৭* রানের ইনিংসটি খেলেছেন এ বছরই। ঘরের মাঠ কেপটাউনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬২ বলে ৮টি চার ও চারটি ছক্কায় মূল্যবান ইনিংসটি সাজান তিনি। কিন্তু তার এই অতিমানবীয় ইনিংসের পরও অসিদের কাছে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।