শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > সিরিয়ায় শনিবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু

সিরিয়ায় শনিবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥

ঢাকা: সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে একমত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। আগামী ২৭শে ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ শনিবার মধ্যরাত থেকে ওই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

এদিকে আগামী ১৩ এপ্রিল দেশে পার্লামেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে সিরিয়া সরকার। দেশটিতে প্রতি চার বছর অন্তর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ২০১২ সালে সর্বশেষ পার্লামেন্ট নির্বাচন অনিুষ্ঠিত হয়েছিল।

দামেস্ক ও হোমস শহরে রোববার ভয়াবহ বোমা হামলায় ১৪০ জন নিহত হওয়ার মাত্র একদিন পর এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এল। দেশটিতে ২০১১ সালের মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই গৃহযুদ্ধে আড়াই লাখের বেশি সিরীয় প্রাণ হারিয়েছে। গৃহহীন হয়েছে আরো এক কোটি ১০ লাখ মানুষ।

সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার বিষয়ে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো গত ১২ ফেব্রুয়ারি একমত হয়েছিলো। তারা তখন এক সপ্তাহের মধ্যেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর এখন শনিবার থেকে তা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া।

হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতির কার্যকর করার বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ওই ফোনালাপের পরই যৌথভাবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয় মস্কো ও ওয়াশিংটন।

ওই যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সিরিয়ার সংঘর্ষে যেসব পক্ষ যুদ্ধবিরতি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে এবং শর্ত মেনে নিয়েছে তাদের ক্ষেত্রেই এ বিরতি প্রযোজ্য হবে।’ তবে জঙ্গী গোষ্ঠী আইএস, নুসরা ফ্রন্ট এবং জাতিসংঘের চিহ্নিত অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠন এ যুদ্ধবিরতির আওতায় পড়বে না। তাদের ওপর সিরিয়া, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর বিমান হামলা অব্যাহত থাকবে।

দুই দেশের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে সিরিয়ার সশস্ত্র বিরোধী দলগুলোকে ২৬শে ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতের মধ্যেই যুদ্ধবিরতিতে তাদের অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। বিরতির সময়টিতে রাশিয়া ও সিরিয়া ওই দলগুলোর ওপর যে কোনো বিমান হামলা বন্ধ করবে।

সিরিয়ার প্রধান বিরোধী জোট ‘দ্য হাই নেগোসিয়েসনস কমিটি’ শর্তসাপেক্ষে চুক্তি মানতে রাজি হয়েছে। তাদের শর্তগুলো হচ্ছে, সরকারি বাহিনীর অবরোধ প্রত্যাহা, বিদ্রোহী বন্দিদের মুক্তি দেয়া, বেসামরিকদের ওপর হামলা বন্ধ করা ও ত্রাণ বিতরণে সহায়তা করা।

তবে জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ইয়ান এলিয়াসন মনে করছেন, যুদ্ধবিরতির এ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা খুব একটা সহজ হবে না। সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, লড়াই বন্ধের ওই প্রক্রিয়ায় যদি আল নুসরা বা আইএস নিয়্ন্িত্রত এলাকাগুলো না পড়ে তাহলে যুদ্ধবিরতি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা সত্যিই অনেক চ্যালেঞ্জের বিষয় হবে এবং সবাই যদি একত্রিত না হয় তাহলে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।

এদিকে জাতিসংঘ সমর্থিত এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে সিরিয়ায় ব্যাপকহারে যুদ্ধাপরাধ সংগঠিত হচ্ছে এবং দিনে দিনে সেখানে সহিংসতা বেড়েই চলেছে। যুদ্ধে লিপ্ত দলগুলো সেখানকার বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে প্রতিনিয়ত হামলা করছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সিরিয়ার সরকার বাহিনী ও ইসলামিক স্টেট জঙ্গী গোষ্ঠীর কার্যক্রম মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল।