বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ সিরিয়ার কিছু রাসায়নিক অস্ত্র সমুদ্রে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি জাহাজে অস্ত্র-বিধ্বংসী ভ্রাম্যমাণ একটি প্ল্যান্টের সাহায্যে এসব ধ্বংস করা। সেখানে রাসায়নিক পদার্থগুলোকে পানিতে গুলিয়ে ক্ষতিকর নয় এমন মাত্রায় নিয়ে আসার পর সেগুলোকে মাটিতে পুতে ফেলা হবে। খবর বিবিসির।
আন্তর্জাতিক সমঝোতা অনুসারে, অর্গানাইজেশন ফর দ্যা প্রোহিবিশন অফ কেমিক্যাল উইপন্স সংস্থাটিকে এবছরের শেষ নাগাদ সিরিয়া থেকে এসব অস্ত্র সরিয়ে ফেলতে হবে।
তিন বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের মধ্যেই সিরিয়ার ভেতর থেকে এসব রাসায়নিক অস্ত্র কীভাবে বের করে আনা হবে সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। এছাড়াও এসব রাসায়নিক অস্ত্র বিপদমুক্ত করার পর, সেগুলো কোথায় ফেলা হবে সেটাও নিশ্চিত হয়নি।
গুজব শোনা যাচ্ছিলো যে এসব অস্ত্রের গন্তব্য হতে পারে আলবেনিয়াসহ আরো কয়েকটি দেশ। কিন্তু আলবেনিয়া বলে দিয়েছে, এসব নিতে তারা রাজি নয়। কোন কোন দেশ কম বিষাক্ত এসব পদার্থ নিতে চায় সেটাও জানাতে হবে শুক্রবারের মধ্যেই। পশ্চিমা দেশগুলো স্বীকার করেছে যে, এ বিষয়ে একটা সমঝোতায় পৌঁছানোর কাজ তাদের জন্যে বড়ো ধরনের চ্যালেঞ্জ।
বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, এসব অস্ত্র কেউ সিরিয়া থেকে বের করে আনারও দায়িত্ব নিতে চাইছে না। ফলে সিরিয়ার সেনাবাহিনীকেই এখন এই কাজটা করতে হবে। ধারণা করা হচ্ছে যে, কিছু কিছু অস্ত্র সেনাবাহিনী ইতোমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় জড়ো করেছে। আন্তর্জাতিক সমঝোতা অনুসারে অর্গানাইজেশন ফর দ্যা প্রোহিবিশন অফ কেমিক্যাল উইপন্স এখন পর্যন্ত পরিকল্পিত সময়ের মধ্যেই তার কাজটা করতে পেরেছে। তবে এর পরবর্তী ধাপটা যে হবে আরো কঠিন সেনিয়ে কোন বিতর্ক নেই।
এবছর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী সংস্থা- অর্গানাইজেশন ফর দ্যা প্রোহিবিশন অফ কেমিক্যাল উইপন্স এবং মার্কিন নৌবাহিনীর এই পরিকল্পনা নিয়ে এখনও অনেক প্রশ্ন অমীমাংসিত রয়েছে। মার্কিন জাহাজই কি লাটাকিয়াতে গিয়ে রাসায়নিক অস্ত্রের কন্টেইনার সংগ্রহ করবে, নাকি ছোট ছোট জাহাজের সাহায্যে সেগুলো সিরিয়ার জলসীমার বাইরে নিয়ে আসা হবে? এসব রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে আসার সময় যদি সেসব কন্টেইনার আক্রান্ত হয় অথবা বিদ্রোহীদের হাতে গিয়ে পড়ে, তার দায়িত্ব কে নেবে?