শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > সিটি নির্বাচন : ইসির অনুমতি ছাড়া বদলি নয়

সিটি নির্বাচন : ইসির অনুমতি ছাড়া বদলি নয়

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুমতি ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি না করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এতে ভোটের ফলের গেজেট প্রকাশ হওয়ার ১৫ দিন পর্যন্ত কাউকে বদলি না করার কথা বলা হয়েছে।

সোমবার ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীরের সই করা এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও সম্পাদনের জন্য বিভিন্ন সরকারি দফতর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের মধ্য থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসার নিয়োগ প্রদান করা হবে। বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি এবং সরকারি অনুমােদনপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন। ভোটকেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্য মোতায়েন করা হবে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান/সংস্থার স্থাপনা/অঙ্গন ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

আইনের সংশ্নিষ্ট ধারা স্মরণ করিয়ে চিঠিতে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য এবং স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ৩ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালনে সহায়তা প্রদান করার উদ্দেশে রাষ্ট্রের যেকোনো ব্যক্তি বা নির্বাহী কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারবে এবং অনুরূপভাবে নির্দেশিত হলে ওই ব্যক্তি বা নির্বাহী কর্তৃপক্ষ উল্লিখিত দায়িত্ব পালন বা উক্তরূপ সহায়তা প্রদান করতে বাধ্য থাকবে।

বিধিমালার বিধি ৮৯ অনুযায়ী, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ১৫ দিন অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ব্যতিরেকে নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অন্যত্র বদলি করা যাবে না। নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ অনুসারে কোনো ব্যক্তি নির্বাচন-সংক্রান্ত কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে তিনি তার উক্তরূপ নিয়োগের পর নির্বাচনী দায়িত্ব হতে অব্যাহতি না পাওয়া পর্যন্ত তার চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রেষণে চাকরিরত আছেন বলে গণ্য হবেন। ইতিপূর্বে এ ধরনের ক্ষেত্রে নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পরিপত্র জারি করা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ৩০ জানুয়ারি। ৩১ ডিসেম্বর দুই সিটির নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ২ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ জানুয়ারি।