আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
গত বৃহস্পতিবার এক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপ। দুর্ঘটনার সময় প্রিন্স নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
তবে দুর্ঘটনার পর দুদিন না কাটতেই নতুন গাড়ি নিয়ে শনিবার ফের গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন তিনি। তাও সিটবেল্ট না লাগিয়েই।
এমন ঘটনায় আবারও সমালোচনার মুখে পড়লেন ব্রিটিশ রাজ পরিবার।
প্রিন্স ফিলিপের সিট বেল্ট না বেঁধে গাড়ি চালানোর ছবিটি দেখে তাকে সতর্ক করেছে যুক্তরাজ্যের পুলিশ। সূত্র: বিবিসি
বৃহস্পতিবারের ওই দুঘর্টনায় প্রিন্স ফিলিপের চোট গুরুতর না হলেও অন্য গাড়ির যাত্রীদের চোট গুরুতর বলে জানিয়েছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
গাড়িটির পেছনে আসনের একটি নয় মাসের শিশুর আঘাত লাগেনি জানিয়ে তারা বলেন, গাড়িতে থাকা দুই নারীর একজনের কব্জি ভেঙেছে ও অন্যজনের হাঁটুতে চোট লেগেছে।
এরপরেই প্রশ্ন ওঠে, ৯৭ বছরের এক প্রবীণের গাড়ি চালানো ঠিক হচ্ছে কিনা। সেই প্রশ্নের রেশ কাটতে না কাটতে ফের এমনটা করলেন প্রিন্স ফিলিপ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ‘মানুষের মনে যে প্রশ্ন উঠছে, সেটা বুঝতে পেরেছি আমরা।
তবে দুঘর্টনার তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কোনোরকম ব্যাখ্যা দিতে রাজি নন পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে রানির স্যান্ডরিংহ্যাম এস্টেটের কাছাকাছি এক স্থানে।
একটি হ্যাচব্যাক গাড়িতে ধাক্কা মারে ফিলিপের ল্যান্ড রোভার।
ওই সময় ফিলিপ এবং অন্য গাড়িটির চালক নেশাগ্রস্থ অবস্থায় ছিলেন কিনা সে পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়েছেন দুজনই। কারও শ্বাসেই অ্যালকোহল মেলেনি।
দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমে ফিলিপ দাবি করেন, সূর্যের আলো চোখে পড়ায় সামনের গাড়িকে দেখতে পাননি তিনি।
তবে ফিলিপের এমন বক্তব্যে মন গলেনি ব্রিটেনবাসীর।