স্টাফ রিপোর্টার ॥ সারাদেশের সিএনজি স্টেশন শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে যাচ্ছে। পেট্রোবাংলার ম্যাজিস্ট্রেটের হয়রানি, চাঁদাবাজির প্রতিবাদে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনর্ভাসন ওয়ার্কসপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কমিটির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি জাকির হোসেন নয়ন।
তিনি জানান, সম্প্রতি পেট্রোবাংলার ম্যাজিস্ট্রেট সিলেটে একটি সিএনজি স্টেশনের মিটার আইন বহির্ভুতভাবে এক মাসের অধিক সময় আটকে রাখেন। পাশাপাশি সিএনজি মালিকদের সঙ্গে ওই ম্যাজিস্ট্রেট অনেক খারাপ ব্যবহার করেন। সরকারের আইনের মাধ্যমে তার অনৈতিক কাজে অতিষ্ট হয়ে সিলেট জেলা কমিটি ধর্মঘট ডাকে।
তিনি বলেন, একটি কারিগরি কমিটি গঠনের পরেও ম্যাজিস্ট্রেটের হয়রানির বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি জরুরি বৈঠকে বসে। বৈঠকে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত হয়।
তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেট মিটার, গ্যাসের পরিমাপ পরীা করতে পারেন। কিন্তু কোন প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয়ের হিসেব দেখার এখতিয়ার তার নেই।
এর আগে গত ২৬ মে পেট্রোবাংলার সঙ্গে সিএনজি ওনার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের এক বৈঠকে ম্যাজিস্ট্রেটদের হয়রানি বন্ধ, গ্রাহক পর্যায়ে পরিমাপে কম সরবরাহ, অবৈধভাবে সংযোগ, মিটার টেম্পারিং করে গ্যাস চুরি করা হচ্ছে কি না এ নিয়ে একটি কারিগরি কমিটি গঠন করে। কমিটিতে পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনর্ভাসন ওনার্স এসোসিয়েশন,তিতাস গ্যাস, বাংলাদেশ স্ট্যার্ন্ডাডস এন্ড টেস্টিং ইনষ্টিটিউশনস(বিএসটিঅঅই) ও বাংলাদেশ বিস্ফোরক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা রয়েছেন।
সিএনজি স্টেশন মালিক সমিতির দাবি- নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হাইয়ের নেতৃত্বে সিলেট নগরীর মেন্দিবাগে বেঙ্গল গ্যাসোলিন অ্যান্ড কনর্ভাসন সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে তারা প্রতিষ্ঠানটির গত ৫ বছরের হিসাব-নিকাশ দেখতে চায়। অপারগতা প্রকাশ করলে আব্দুস শহীদের সাথে ওই ম্যাজিস্ট্রেটের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মোবাইল কোর্টের সদস্যরা প্রতিষ্ঠানটির দ্বিতীয় তলার অফিস করে কাগজপত্র তছনছ করে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুর জানান, তারা ধর্মঘট ডাকার আগে আমার সঙ্গে কথা বলতে পারত। কোন সমস্যা থাকলে আমি ব্যবস্থা নিতে পারতাম।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান সিলেটের ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের ম্যাজিস্টেট অভিযানে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। আমাকে ম্যাজিস্টেট জানিয়েছে তিনি কাগজ দেখতে চাইলে না দেখিয়ে তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। তবে তারা ধর্মঘটে না গিয়ে বসলে বিষয়টি সমাধান করা যেত।’