বিনোদন ডেস্ক ॥
কলকাতার সুপারস্টার দেব অভিনীত ‘চ্যাম্প’ ছবিটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (সাফটা) আওতায় ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে এ দেশে। বাংলাদেশে ছবিটি আনছে ‘তিতাস কথাচিত্র’।
বাংলাদেশে ‘চ্যাম্প’র মুক্তির বিষয়টি নিয়ে তিতাস কথাচিত্রে কর্ণধার আবুল কালাম জাগো নিউজকে এমন খবর জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘রোজার আগেই ‘চ্যাম্প’ মুক্তির অনুমতি চেয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি এখনও পাইনি। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আশা করছি আগামী মাসে ‘চ্যাম্প’ বাংলাদেশে মুক্তি দিতে পারবো।’
তিতাস কথাচিত্রে কর্ণধার আরও বলেন, ‘ঈদে কলকাতায় ‘চ্যাম্প’ মুক্তি পেয়েছে। কিছুদিন পরেই পাইরেসি হয়ে যেতে পারে, কিংবা ইউটিউবে চলে আসবে। তার আগেই বাংলাদেশে ‘চ্যাম্প’ মুক্তি দিতে চাচ্ছি। বাকিটা মন্ত্রণালয়ের অনুমতির উপর নির্ভর করছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেবের ‘চ্যাম্প’ ছবির বিনিময়ে ওপার বাংলায় যাচ্ছে বাংলাদেশের ‘মাস্তানি’। কাজী মারুফ ও মৌসুমী হামিদ অভিনীত এ ছবিটি পরিচালনা করেছেন ফিরোজ খান প্রিন্স। যেটি বাংলাদেশে মুক্তি পায় ১৯ আগস্ট ২০১৬।
‘চ্যাম্প’ হলো খেলাধূলা ও ড্রামাটিক চলচ্চিত্র। এটি পরিচালনা করেছেন রাজ চক্রবর্তী। এ ছবির মাধ্যমেই প্রথমবারের মতো প্রযোজনায় এসেছেন দেব। এতে দেবের বিপরীতে অভিনয় করছেন তার প্রেমিকা রুক্মিণী মৈত্র। আরও আছেন চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী, প্রিয়াঙ্কা সরকার, কৌশিক গাঙ্গুলী, লাবনি সরকার। চলচ্চিত্রটি ঈদের আগে গত ২৩ জুন পশ্চিমবঙ্গের ১৪০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।
এর আগে গেল ১৭ মার্চ তিতাস কথাচিত্র বাংলাদেশে মুক্তি দেয় কলকাতার ছবি ‘তোমাকে চাই’। বনি সেনগুপ্ত এবং কৌশানী মুখোপাধ্যায় অভিনীত ‘তোমাকে চাই’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ায় কলকাতায় মুক্তি পেয়েছিল শাকিব, অপু ও ববি অভিনীত ‘রাজাবাবু’।
সাফটা চুক্তিতে কলকাতার সঙ্গে ছবি বিনিময় নিয়ে অনেক সমালোচনা চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। অভিযোগ রয়েছে, ওপার থেকে আসা ছবিগুলো এপারে শতাধিক হলে মুক্তি পেলেও বাংলাদেশের ছবিগুলো কলকাতায় ১০টি হলেও মুক্তি দেয়া হয় না। থাকে না কোনো প্রচার-প্রচারণাও। এ যেন বাংলাদেশে কলকাতার ছবির বাজার তৈরিরই এক কৌশলী প্রচেষ্টা। এ বিষয়ে অনেক আন্দোলন, কর্মসূচি দিয়েও সফল হয়নি চলচ্চিত্রাঙ্গনের মানুষেরা। টনক নড়েনি সরকারেরও।
দেশের সিনেমা চলে না অজুহাত দিয়ে হল মালিকদের চাহিদার কথা বলে চালানো হচ্ছে কলকাতার সুপারস্টারদের নানা ছবি। আর হল বঞ্চিত করা হচ্ছে দেশীয় সিনেমাগুলোকে। চলচ্চিত্রবোদ্ধারা মনে করেন, সরকারের কঠোর ব্যবস্থা ছাড়া এই ছবি বিনিময়ে ভারসাম্য আসবে না।