শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > রাজনীতি > সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ’র প্রশ্ন > অনলাইন নীতিমালায় বিচার করবে কে?

সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ’র প্রশ্ন > অনলাইন নীতিমালায় বিচার করবে কে?

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
১৯৭৩ সালে যখন আমাদের সংবিধান রচনা হয় তখন সংসদে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তসহ অনেকেই বলেছিলেন যে, পুরনো বোতলে নতুন মদ। অর্থাৎ আইয়ুব খানের প্রেস এন্ড পাবলিকেশন্স যা করা হয়েছিল তার থেকে শুধুমাত্র শব্দ পরিবর্তন করা হয়েছিল, তাছাড়া সবই ঠিক ছিল। সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ এ উদাহরণ দিয়েছেন অনলাইন নীতিমালা প্রসঙ্গে।

ইন্ডিপেন্ডডেন্ট টেলিভিশনে আজকের বাংলাদেশ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ বলেন, আইসিটি এ্যাক্টের মাধ্যমে সরকার কি অর্জন করবে ? তিনি বলেন, আপনি আমার চিন্তার জগতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছেন। কিন্তু আমার মনটাকে আপনি কি করে নিয়ন্ত্রণ করবেন ? আমার মনটাকেতো আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। সুতরাং আমার মনের মধ্যে যে বিক্ষোভ আছে সেই বিক্ষোভ আপনি কিভাবে ধরে রাখবেন।

গত কয়েক বছর ধরে অনলাইনে ভুয়া নিউজের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন গ্রামের অনেক রকমের গুজব হতো বিভিন্ন ব্যক্তি সম্পর্কে। কিন্তু এই গুজবে তারা কিন্তু ধসে পড়তেন না।

তিনি বলেন, ধরেন আমি যুক্তরাষ্ট্রে থাকি। এই সরকারের আমলে দেশে আসব না। আমি ওখানে বসে এখনকার প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে যা ইচ্ছা তাই লিখলাম। তখনতো আপনি আমাকে লেখার জন্য ধরতে পারছেন না। যেমন পারছেন না ইউটিউবে ছবির মাঝখানে ‘চটি’ খবর ঢুকিয়ে দেওয়াটা। তাই আমি মনে করি এই সব নীতিমালা বা ভুয়া খবর প্রচারণা বন্ধে কোনো ফায়দা হচ্ছে না এবং ভবিষ্যতে হবে না।

তিনি বলেন, যেকোনো সমাজে আইন করা হয় নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে যারা আইন করেন তারা সাধারণত ২০/ ৫০ বছর পরে কি হবে সেটা মাথায় রেখে আইন করে থাকেন। কিন্তু বাংলাদেশের সমস্যা হচ্ছে আমাদের ধ্যান ধারণা এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে পুরনো জায়গায়ই দাঁড়িয়ে আছে।

সাংবাদিক ও কলাম লেখক মাহফুজ উল্লাহ বলেন, আমরা বাস করছি এমন একটা যুগে যেখানে ইন্টারনেটের ‘আন গভাইন্ড স্পেস’ বলে। এখন এই আন গভাইন্ড স্পেসকে আপনি কতখানি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। যেখানে অন্যান্য প্রযুক্তির দিক থেকে পৃথিবী খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমার কথা হলো অনলাইন নীতিমালায় যা বলা আছে তার বিচার কে করবে ? পুলিশ নাকি সরকার নাকি আমলা ? কে করবে ? এখানে এগুলো কিন্তু সম্পর্কিত বিষয়। এমন পরি¯ি’তি সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করে রাখা হচ্ছে বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, আমার ডোমিং হোস্টিং হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের এখানে আপনিঘওঞওগঅখঅ-১ কি করতে পারবেন? এখানে শুধু মাত্র বাংলাদেশের বিটিআরসি ব্লক করতে পারবে। কিন্তু এখনকার তরুণদের সাথে যে প্রযুক্তি আছে তাতে কিন্তু আপনি ব্লক করেও ঠেকাতে পারছেন না।

এমন পরিস্থিতিতে এই নীতিমালা করে আপনি কি অর্জন করতে চান। আপনি দেখাতে চান যে, আমার  নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতাটা আছে। কিন্তু আসলেতো আপনি আপনার খারাপ কাজকে ঢাকার জন্যে আপনি এমন সব বাজে কাজকর্ম করছেন। বাজে নীতিমালা করছেন।

আমাদের সময়.কম