বিনোদন ডেস্ক ॥
মূলত এই ছবিটি বুবলীর ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। টেলিফোনে অপু বিশ্বাস তার রাগ কন্ট্রোল করতে পারেননি! অতঃপর শাকিব-বুবলীর ‘রংবাজ’ ছবিটির ঘোষণা এলে ঠিক তার পরদিনই লাইভে অনেক অভিযোগের জের টানেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। ছবিটিতে বুবলীর বাসায় শাকিব খান ও বুবলীর আত্মীয়-পরিবার
তাদের উচিত ছিল আমাদের ইন্ডাস্ট্রির কথা ভাবা: জাকির হোসেন রাজু
আমি শাকিব আর অপুর ব্যক্তিগত বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। শুধু এটুকু বলবো, তারা আমাদের চলচ্চিত্রকে প্রতিনিধিত্ব করতো। তাদের উচিত ছিল আমাদের ইন্ডাস্ট্রির কথা ভাবা। আর এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে আমাদের চলচ্চিত্রের কোনোকিছু আসবে যাবে না। কারণ আমাদের চলচ্চিত্রের এখন কি-ই বা আছে যে ক্ষতি হবে! বছরে ৫টি হিট সিনেমা নেই, নেই কোনো ভালো পরিচালক, নেই কোনো সিনেমা হল। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির এমনিতে নাই অবস্থা, আরো নাই অবস্থা হয়ে গেল এখন।
ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা কোনো সংগঠনের কাজ নয়: মুশফিকুর রহমান গুলজার
কারো ব্যক্তিগত বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হয়ে আমি, আপনি কিছুই বলতে পারি না। আমরা ওদের বিষয়ে গুঞ্জন শুনেছি আগে, কিন্তু তাদের ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলার জন্য আমাদের কেউই হস্তক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা কোনো সংগঠনের কাজ নয়। এখন ভুলত্রুটি সংশোধন করে সামনে এগিয়ে চলতে হবে। আর আমরা খুব শিগগিরই ওদের সঙ্গে বসবো।
সত্য অস্বীকার করার ক্ষমতা নেই: সোহানুর রহমান সোহান
সত্য অস্বীকার করার ক্ষমতা নেই। শাকিব স্বীকার করেছে সন্তান ওর। এ কথার মধ্য দিয়ে আরো অনেক বিষয় উঠে আসে। শাকিব যদি সেগুলো স্বীকার না করে তাহলে ক্ষতিটা শাকিবের নিজেরই হবে। সে যাই হোক, যেটা হওয়ার সেটা হয়ে গেছে। এখন এই বিষয়টির সঠিক সমাধান হচ্ছে দু’জনের সম্মতিতে সংসার করা। দু’জনকে এখন এক থাকতে হবে। আর চলচ্চিত্রের বিষয়ে যদি বলি, এখানেও তাদের কাউকে না কাউকে ছাড় দিতে হবে। হয়তো এখানে শাকিবের টিকে থাকার সম্ভাবনাই বেশি। অপু হয়তো শাকিবের কথা ভেবে এটুকু করবেন। ক্ষতিটা মূলত আমাদের ইন্ডাস্ট্রিরই হয়েছে। ওদের যে শক্ত জুটি ছিল, যে বিনিয়োগ ছিল তাদের জুটির পেছনে এটা হয়তো আর উঠে আসবে না। দু’জন যদি আলাদা আলাদা কাজ করে সেক্ষেত্রে হয়তো সমস্যা হবে না।
শাকিবের নিজের মূল্যটা বোঝা উচিত ছিল:মনতাজুর রহমান আকবর
অপু-শাকিব বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। ওদের দু’জনের ঘটনা ইন্ডাস্ট্রির যে কি ক্ষতি করেছে সেটা ওরা নিজেরাও জানে না। উত্তম কুমার মারা যাওয়ার পর ভারতীয় চলচ্চিত্র উঠে দাঁড়াতে সময় লেগেছে ২০ বছর। আমাদের সালমান শাহ, মান্না মারা যাওয়ার পর আমরা আর কোনো সালমান শাহ, মান্না তৈরি করতে পারিনি। শাকিবের এই ঘটনা শাকিব বেঁচে থেকেও মরে যাওয়ার মতো। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি আরো কয়েকবছর পিছিয়ে গেল। আমার মনে আছে কাজী হায়াত একবার আড্ডায় বলেছিল ভাগ্যিস শাকিব আমাদের দেশে জন্মেছে, পাশের দেশে জন্মালে বলিউডে ৪ জন খান হয়ে যেত। শাকিবের নিজের মূল্যটা বোঝা উচিত ছিল। একই কথা অপুর ক্ষেত্রেও, আমাদের নায়িকাদের মধ্যে আধিপত্য ছিল তার। তাদের ভুলের খেসারত দিতে হবে এখন পুরো চলচ্চিত্র অঙ্গনকে। এখন একটা কথাই বলবো, আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে সেটা অপূরণীয়।
সম্পূর্ণ ভুল বোঝাবুঝি থেকেই ঘটেছে:বদিউল আলম খোকন
অপু-শাকিবের বিষয়টি যেটা ঘটেছে সম্পূর্ণ ভুল বোঝাবুঝি থেকেই ঘটেছে বলে আমি মনে করি। একটা বিষয় লক্ষ্য করুন ইন্ডাস্ট্রিতে ওদের আগমন ২০০৬ সালে। দু-বছরের বোঝাপড়ায় তারা বিয়ে করে। ৮ বছরের সংসার জীবনে এখন তাদের বোঝাপড়ার বিষয়টি আরো বেশি শক্ত হয়েছে। আমি অপু এবং শাকিব দু’জনকে বলতে চাই, এখনই বিষয়টির সমাধান দরকার। জল যেন আর বেশিদূর না গড়ায়। শাকিবের অভিভাবক, অপুর অভিভাবক পাশাপাশি শাকিবকে যারা ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম নিয়ে আসেন এফআই মানিক, সোহানুর রহমান সোহান, অপুকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া পরিচালক আমজাদ হোসেন এরা বসে আলোচনা করলে ঝামেলা মিটে যায়। আর আমরা এখন ডিজিটাল যুগে আছি, আমাদের মন-মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে। ইত্তেফাক