শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > সলো ফ্লাইং সেলিব্রেট করা হলো না তামান্নার

সলো ফ্লাইং সেলিব্রেট করা হলো না তামান্নার

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: ‘সলো ফ্লাইং (একক উড্ডয়ন)’ একজন প্রশিক্ষণার্থী পাইলটের কাছে পরম কাঙ্খিত একটি বিষয়। দীর্ঘদিন তত্ত্বীয় ক্লাস, প্রশিক্ষকের সঙ্গে ১৫ থেকে ২০ ঘণ্টা আকাশে উড্ডয়ন (ফ্লাই)। এরপরই মিলবে সলো ফ্লাইংয়ের সুযোগ।

২০১৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমিতে ভর্তি হওয়ার পর অন্য সব পাইলটের মতো এই দিনটির অপেক্ষাতে ছিলেন তামান্না রহমান হৃদির।

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) তামান্নার জন্য এলো সেই দিনটি। অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে প্রশিক্ষক ছাড়াই রাজশাহীর আকাশে ঘুরে বেড়ালেন এই তরুণ প্রশিক্ষণার্থী বৈমানিক।

সফলতার সঙ্গে সলো ফ্লাইং শেষে ভূমিতে অবতরণের পর তারই প্রশিক্ষক ক্যাপ্টেন সাইদ কামাল অভিনন্দিত করলেন সবার আগে।

এ সময় ক্যাপ্টেন সাইদ পরদিন (০১ এপ্রিল) তামান্নার সলো ফ্লাইং উদযাপনের ঘোষণা দেন। এরপর ক্যাপ্টেন সাইদ সফলভাবে সলো ফ্লাইংয়ের ব্যাজ পরিয়ে দেন তামান্নাকে।

ফ্লাইং একাডেমির উড়োজাহাজ শেখার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় রাজশাহীতে। আর ঢাকায় চলে তাত্ত্বিক ক্লাস। তামান্নার এই সফলতার ব্যাজ পরানোর তোলা ছবি ঢাকায় একাডেমির সেক্রেটারি জেনারেল ক্যাপ্টেন আহমেদ ফজলুর রহমানকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হয়।

নিয়মানুযায়ী সলো ফ্লাইংয়ের পরদিন প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণার্থীকে নিয়ে আবার উড্ডয়ন করেন এবং সলো ফ্লাইংয়ের ভুল-ত্রুটিগুলো হাতে-কলমে সংশোধন করে দেবেন। কথা ছিল ১ এপ্রিল প্রশিক্ষকের সঙ্গে উড্ডয়ন শেষে রাতে তামান্নার সলো ফ্লাইং উদযাপন করা হবে।

মঙ্গলবারের এই আনন্দ ও সফলতার ছবি দেখে অত্যন্ত খুশি হন একাডেমির অন্যতম কর্ণধার ক্যাপ্টেন আহমেদ। প্রশিক্ষণার্থী বৈমানিকের এই সফলতায় শিক্ষক হিসেবে একরাশ ভালোলাগা নিয়ে বুধবার সকালে একাডেমিতে আসেন ক্যাপ্টেন আহমেদ। কিন্তু দুপুরেই আসে আকস্মিক এই দুর্ঘটনার খবর।

বিষয়টি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না ক্যাপ্টেন আহমেদ। দুর্ঘটনার পর বারবার মোবাইল ফোন থেকে তিনি ওই ছবিটি দেখছিলেন।

হাসিমুখে ক্যাপ্টেন শাহেদ তার ছাত্রীকে ব্যাজ পরিয়ে দিচ্ছেন। ছাত্রীও খুশিমনে স্যারের পরানো ব্যাজের দিকে তাকিয়ে আছেন। এই ছবিটিই বারবার দেখছেন ক্যাপ্টেন আহমেদ। এরপর স্যারের সঙ্গে বিজয় চিহ্ন দেখিয়ে আরো একটি ছবি তোলেন তামান্না ও অন্য দু’জন প্রশিক্ষণার্থী। চমৎকার একটি দৃশ্য।

পরদিনই এই ছবি স্মৃতি। প্রশিক্ষণার্থী দুর্ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আর প্রশিক্ষক সাইদ গুরুতর দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে হাসপাতালে লড়াই করছেন। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম