বিশেষ প্রতিবেদক: দেশের বৃহৎ শিল্পগ্রুপগুলোর একটি মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)। এ গ্রুপের বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলও রয়েছে। বিলিয়ন ডলারের প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি তারা। কিন্তু এ শিল্পগ্রুপের মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে এক লাখ কোটি টাকারও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে প্রতিষ্ঠানটির অর্থ পাচারের সব ধরনের গোয়েন্দা প্রতিবেদন থাকা সত্ত্বেও কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানটির সব অপরাধ যেন মার্জনীয়। সম্প্রতি রাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে মেঘনা গ্রুপের জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের তথ্য উঠে আসে। এর প্রেক্ষিতে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সম্প্রতি এনবিআরের কাছে পৃথক আরেকটি চিঠি পাঠিয়ে মেঘনা গ্রুপের অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হলে তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছে।
এদিকে মেঘনা গ্রুপের অর্থপাচার ও রাজস্ব জালিয়াতির বিষয়ে এখনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এনবিআরের দুর্বলতার সুযোগে দেশে রাজস্ব আদায়ের হার পৃথিবীর সর্বনিম্ন পর্যায়ে। তারা একেকজন মতিউর তৈরি করে বলেই ভ্যাট-ট্যাক্স ও অর্থপাচারের সুযোগ তৈরি হয়।’ জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অভিযোগ বিষয়ে এনবিআরের বক্তব্য পাওয়া গেলেও আমাদের প্রশ্নের জবাব পাওয়া যায়নি মেঘনা গ্রুপের পক্ষ থেকে। তাদের বক্তব্য চেয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
কী অভিযোগ মেঘনা গ্রুপের বিরুদ্ধে
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এর উদ্যোক্তা পরিচালক ছিলেন মো. জাকারিয়া, তার ভাই এমএফ কামাল ও তাদের বোন বিউটি আক্তার, বোনের স্বামী মোস্তফা কামাল এবং বাসেত মজুমদার। বর্তমানে বিমা কোম্পানিটির চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন মোস্তফা কামাল এবং মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সানাউল্লাহ। ২০০০ সাল পর্যন্ত বিমা কোম্পানিটি তাদের ব্যবসা কার্যক্রম ভালোভাবে পরিচালনা করলেও পরবর্তীতে পরিচালকদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এই দ্বন্দ্বের ফলে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। ব্যাংক কর্তৃক ‘ক’ পক্ষ হিসেবে মো. জাকারিয়া এবং ‘খ’ পক্ষ হিসেবে এমএফ কামাল চূড়ান্ত হন।
মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ ‘খ’ পক্ষের মালিক মোস্তফা কামাল তার মালিকানাধীন ৭০টি ব্যবসা ও শিল্পগুলোর এলসির বিপরীতে ভুয়া/জাল ইন্স্যুরেন্স কভারনোট ইস্যুর মাধ্যমে ২১ বছরে (২০০০-২০২০) বিমা কোম্পানিটির বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা এক লাখ কোটি টাকারও বেশি। এর মধ্যে এলসি খুলতে গিয়ে আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে ৭৯ হাজার ৭৬২ কোটি ৯০ লাখ টাকার বেশি পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে। মোস্তফা কামালের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিপরীতে ২১ বছরে ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের প্রায় এক হাজার ৫১৯ কোটি টাকার বেশি অর্থ আত্মসাতের তথ্য উঠে এসেছে। এর মধ্যে উল্লিখিত সময়ে এসব প্রতিষ্ঠানের আমদানিকৃত পণ্যের এসেসেবল ভ্যালু এক লাখ ২৮ হাজার ১৩২ কোটি টাকার বেশি। এ অর্থের বিপরীতে পলিসি নেওয়া বাধ্যতামূলক। পলিসির হার দশমিক ৯ শতাংশ হলে তার পরিমাণ দাঁড়ায় এক হাজার ১৫৩ কোটি ১৮ লাখ টাকার বেশি। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে ৬০ থেকে ৭০টি নৌযান রয়েছে বলে উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। এসব নৌযানের বিপরীতে বার্ষিক পলিসি নেওয়া বাধ্যতামূলক। সেক্ষেত্রে প্রতি বছর গড়ে তিন কোটি টাকা হিসেবে ২০ বছরে আত্মসাতের পরিমাণ ৬০ কোটি টাকা।
প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে মোটরযান রয়েছে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০টির বেশি। এসব মোটরযানেরও পলিসি নেওয়া বাধ্যতামূলক। সেক্ষেত্রে প্রতি বছর গড়ে দুই কোটি টাকা হিসেবে ২০ বছরে আত্মসাৎ হয়েছে ৪০ কোটি টাকা।মেঘনা গ্রুপের ৬০ থেকে ৭০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতি বছর গড়ে ১২ কোটি টাকা ফায়ার পলিসি হিসেবে ২০ বছরে আত্মসাৎ করা হয়েছে ২৪০ কোটি টাকা। আন্ডার ইনভয়েসকৃত ৭৯ হাজার কোটি টাকার ব্যাংক কমিশন ৬৩৮ কোটি টাকার বিপরীতে ইন্স্যুরেন্স পলিসি বাবদ চার শতাংশ স্ট্যাম্প বাবদ আত্মসাৎ ২৫ কোটি ৫২ লাখ টাকার বেশি। সব মিলিয়ে ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের কাছ থেকে ২০ বছরে আত্মসাৎ করা হয়েছে এক হাজার ৫১৮ কোটি টাকার বেশি।
শুধু ইন্স্যুরেন্সের টাকা আত্মসাৎই নয়, এমজিআই রাষ্ট্রের রাজস্ব ও ব্যাংকের লভ্যাংশের সম্ভাব্য আত্মসাতের পরিমাণ ৭৩৪ কোটি টাকার বেশি বলে উঠে এসেছে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনটিতে। এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, আন্ডার ইনভয়েসকৃত এলসি ভ্যালু মোট ৭৯ হাজার কোটি টাকার বিপরীতে ব্যাংক কমিশন বাবদ আত্মসাৎ করা হয়েছে ৬৩৮ কোটি টাকার বেশি। এই ৬৩৮ কোটি টাকা ব্যাংক কমিশনের বিপরীতে রাষ্ট্রের ভ্যাট আত্মসাৎ করা হয়েছে (১৫ শতাংশ হারে) প্রায় ৯৬ কোটি টাকা।
১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি
ব্যাংক ঋণে ডুবছে মেঘনা গ্রুপ
অর্থপাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত মেঘনা গ্রুপ ব্যাংক ঋণে জর্জরিত। বিপুল অঙ্কের ব্যাংক ঋণ রয়েছে তাদের। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা গ্রুপের ৫৫ প্রতিষ্ঠানে ৩১ ব্যাংক ও তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ রয়েছে ১৬ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা। এই গ্রুপের সবচেয়ে বেশি ঋণ রয়েছে সোনারগাঁও সিড ক্র্যাশিং মিলস লিমিটেডে, যার পরিমাণ চার হাজার ৩১১ কোটি টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঋণ মেঘনা সুগার রিফাইনারি লিমিটেডে। এ প্রতিষ্ঠানের ঋণের পরিমাণ তিন হাজার ১৮ কোটি টাকা। এরপর এক হাজার ৩০০ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে সোনারগাঁও ময়দা ও ডাল মিলস লিমিটেডে। আর মেঘনা পিভিসি লিমিটেডে ঋণের পরিমাণ এক হাজার ১২৫ কোটি টাকা। ৯৮৫ কোটি টাকার ঋণ আছে মেঘনা রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস লিমিটেডে।
কী বলছে টিআইবি
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সক্রিয়ভাবে কাজ করলে রাজস্ব আয় ফাঁকির সুযোগ থাকত না। তারা অনেক দুর্নীতির সহযোগী হিসেবে কাজ করে। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর শুধু একজন নয়, এমন বহু মতিউর রয়েছে এনবিআরে। বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এদের সখ্যের কারণে মেঘনা গ্রুপের মতো বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি, কর ফাঁকি ও অর্থপাচারের তথ্য জানার পরও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এত বিপুল অঙ্কের অর্থ পাচারের অভিযোগ আমলে নিতে মাসের পর মাস সময় নষ্ট করা বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বক্তব্য
মেঘনা গ্রুপের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, অনিয়ম ও অর্থপাচার বিষয়ে একটি গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে দৃষ্টি আকষর্ণ করা হয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মুসফিকুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, এ ধরনের একটি প্রতিবেদন আমাদের কাছে এসেছে। প্রতিবেদনে যেসব অভিযোগ রয়েছে, সেগুলোর যথার্থতা নিয়ে কাজ চলছে। মেঘনা গ্রুপ তাদের আমদানিকৃত পণ্যের যে মূল্য ঘোষণা করেছে, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তারচেয়ে আমদানি মূল্য কয়েকগুণ বেশি বলে মনে করছে, যা অস্বাভাবিক। সাধারণত আমদানি মূল্যের সঙ্গে কাস্টমসের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পার্থক্য হতে পারে। কিন্তু এখানে যে তথ্য রয়েছে, তাতে দেখা যায় এ পার্থক্যের পরিমাণ কয়েকগুণ বেশি। এখন যদি পণ্যের আমদানি মূল্য বেশি হওয়ার বিষয়টি মেঘনা গ্রুপ স্বীকার করে নেয়, তাহলে তাদের বেশি শুল্ক পরিশোধ করার কথা। মেঘনা গ্রুপের মতো কোম্পানি কী সত্যিই সেটি মেনে নিয়েছেÑ এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আমরা তথ্যের যথার্থতা যাচাই করতে এনবিআর চেয়ারম্যানের দপ্তরে পাঠাব। সেখান থেকে হয়তো সেটি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে পাঠিয়ে তথ্যের সঠিকতা যাচাই করে দেখবে। যদি তথ্যের যথার্থতার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়, তাহলে এনবিআর-সংশ্লিষ্ট যে বিষয়টি রয়েছে, সেটির ব্যাপারে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
তিনি আরো বলেন, যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, সেখানে বিমা পলিসি নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এটি এনবিআরের কোনো অংশ নয়। এটি দেখার দায়িত্ব বিমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএর বিষয়ও জড়িত রয়েছে। ফলে পুরো বিষয়টি সামগ্রিক আকারে দেখতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে এনবিআরের দীর্ঘসূত্রতার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা দীর্ঘ অনুসন্ধানের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হয়। কারণ, অনেক তথ্য যাচাই-বাছাই দরকার হতে পারে।
এদিকে সৈয়দ মুসফিকুর রহমানের সঙ্গে প্রতিনিধির সাক্ষাতের কদিন পর এই প্রতিবেদকের হাতে একটি গোপনীয় নথি আসে। ওই নথিটি পাঠানো হয় কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে। গত ২৭ মার্চ পাঠানো একটি গোপন চিঠিতে কাস্টমস গোয়েন্দা মহাপরিচালক এনবিআর চেয়ারম্যানকে মেঘনা গ্রুপের জালিয়াতি ও অর্থপাচারের বিষয়টি নজরে আনেন। তিনি জানান, মেঘনা গ্রুপের অর্থপাচার ও জালিয়াতির বিষয়ে কাস্টম হাউস চট্টগ্রাম এবং কাস্টমস মূল্যায়ন ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিশনারেটের তদন্তে আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হলে মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে মেঘনা গ্রুপের বিরুদ্ধে বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের গুরুতর অভিযোগ বিষয়ে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করলে প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা সাড়া দেননি। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়Ñ আপনি কি এই অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করছেন, নাকি এ বিষয়ে কোনো তদন্ত চলছে? আপনি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন ২১ বছর ধরে চলা এমন ব্যাপক আর্থিক জালিয়াতি ও অর্থপাচারের ঘটনা? মেঘনা গ্রুপের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ ধরনের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন কি না? মেঘনা গ্রুপ কি মনে করে, রাষ্ট্রের রাজস্ব ও ব্যাংকের লভ্যাংশের টাকা আত্মসাৎ হয়েছে- এমন গুরুতর অভিযোগের পর প্রতিষ্ঠানটি কী ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে? এলসি খুলতে গিয়ে আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে ৭৯ হাজার কোটি টাকা পাচার করার অভিযোগ উঠেছে।
এর বিরুদ্ধে মেঘনা গ্রুপ কি কোনো প্রতিবাদ বা ব্যাখ্যা দিতে চায়? আপনি কি নিশ্চিত যে, মেঘনা গ্রুপের সব আর্থিক কার্যক্রম জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে সঠিকভাবে রিপোর্ট করা হয়েছে এবং তারা যথাযথ কর পরিশোধ করেছে? তবে এসব কোনো প্রশ্নেরই উত্তর পাওয়া যায়নি তার কাছ থেকে। মেঘনা গ্রুপের কর্ণধার মোস্তফা কামালের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনিও কোনো ধরনের সাড়া দেননি। তবে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যানের কাছে বক্তব্য চাওয়ার পর বেসরকারি একাত্তর টিভির এক সাংবাদিক ফোন করেন প্রতিনিধিকে।
তিনি মোস্তফা কামালকে ফোন করার কারণ জানতে চান। তার কাছে কারণও ব্যাখ্যা করা হয়। এদিকে অভিযোগ বিষয়ে মেঘনা গ্রুপের বক্তব্য চেয়ে প্রায় এক মাস অপেক্ষা করেছে। তবে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। একাত্তর টিভির মালিকানায় রয়েছে মূলত মেঘনা গ্রুপ।